গুচ্ছ কবিতা
ছবি
জন্মের
মুহূর্তেই অনন্ত কোনো ছবির এক কোণে
অন্তর্ভুক্ত হয়ে
যাও তুমি
আর একজন
অন্ধকে, পাথর ছুঁড়ে হত্যা করে
তুমি সম্পূর্ণ করো সেই ছবি আর নিজেকে
যাতে
মৃত্যুর আগে অর্ধদেবতার মতো কেউ
তেলের বাতি ঘেঁসে একদিন
নিঃসার একটা চিঠি দিয়ে যায় তোমাকে
সম্পর্ক
দ্বাদশ
শতাব্দীতেই আমি সাহসী হয়ে
উঠেছিলাম
আর কাঁধ
ঝাঁকিয়ে বলেছিলাম
অপরসায়নের
সাথে আমার সম্পর্ক
গুহার মধ্যে
দুটো ভালুকের মতো
কোনো অজুহাত
ছাড়াই যারা পাপে ডুবে যায় নিজেদের নিয়ে
আর একটা
হুইস্ট খেলার টেবিল
রোজ রাতে
সেই পাপ মুখ কালো করে নিয়ে যায়
স্পিনোজা
পেছনে ছুটে
আসছে যে কালো ষাঁড়
নিশ্চয়
কোনো চিঠি দিতে আসছে না সে
দশ নম্বর
দরজার হাতলে খামোখা এতো লাল কাপড় জড়ানো
মৃত্যুর পর
কে প্রথম ছোঁবে তাকে- অনন্ত না শক্ত বাদাম
কেউ সেটা বলতে পারে না
দশ নম্বর
দরজার হাতলে ফালতু এই লাল কাপড় জড়ানো
বুদ্ধির উপযোগিতা
তেতো
মন্তব্যের মতো এই জানলা তুমি এড়াতে পারবে না জায়েস্ত্র
এক ধাপ নেমে
দাঁড়ালেই দেখবে
ব্লেড তোমার বোতামের দিকে এগোচ্ছে
কোনো
নিরাবয়ব পদ্ধতিতেই সবাই তখন জানবে
রাত দশটার বৃষ্টি আসলে উপসংহার
যেখানে দু গজ
দূরের ট্রাম লাইনও হারিয়ে যায়
যখন সে বৌদ্ধিকভাবে পিছিয়ে
নির্ভরতা
রাত্রির
বিরুদ্ধে আবার জেগে ওঠে সাদা একটা প্যারাম্বুলেটার
আর দুটো
সমান্তরাল ছায়া
রাগে অপমানে
নিচু গলায় অভিশাপ দিতে দিতে
তোমার দুটো
পা হয়ে যায়
অমিতাভ মৈত্র