সাম্প্রতিক

6/recent/ticker-posts

লক্ষ্মী কান্ত মণ্ডল


খয়েরি রঙের সমীক্ষা 
                                                                         এক

ছাই উড়ছে শরীরের বলিরেখা ঘিরে , আর কিছুদিন 
পরেই আড়চোখের দৃষ্টিতে বসবে কলঙ্কের ছাপ ।  
মগ্নতা থেকে  সুশীল পুরুষের দিক পরিবর্তনের ছবিটা 
কেটে যারা ঘুড়ি ওড়াবে - তারাও ক্লান্তি ঘোঁচাতে হাত 
উঁচিয়ে হাই তুলছে চৌরাস্তায় ।  মুক্তবেণির  মেয়েটি 
পান'এ আদা মেশাতে মেশাতে বাতাসের তাপ মাপছে  -  
পাশেই ট্যাপ খুলে পড়ছে জল । তাদের কোনো বিকার নেই , 
নরেন্দ্রও কেমন বরফ খুঁজছেন  - এটা তার ভান 
হতে পারে , তবে কোন নৌকাবিহার নাই ! মফসসলের 
শরীর পুড়ছে ,  আর কালো কালো ঘুর্ণির ঘুর্ণনে ঘুরছে 
জামা প্যান্ট শাড়ি ব্লাউজ ,  রাগছেন  বাগ্মী মমতা ।  
বৈরাগ্য কোথায় কে জানে  - 


দুই

বিকেলের চালায় গাল ঠেকিয়ে থাকার দৃশ্যতে হার মানে
পশ্চিমের রং । মশগুল তার ক্লান্তিতে দুদলের কাঁটাতার।
 যারা দিন ফিরিয়ে দেবার জন্য মিছিল করে তার সাথে 
বিরোধী দলের কোন পার্থক্য নেই  - সকলের ইস্তাহারে 
ঘুমন্ত রাত্রি অবোধ্য।  তবু হাওয়ায় ফোলা খয়েরী ঠোঁট  
জামফলের মতো রসাল , যেন ছায়া কেঁপে ওঠা এই  
ভূগোল , আর সঙ্গমে উন্মুখ লাঠি সোটা বন্দুক ।  ঠিক 
ঠিক  রাঙাদ্বীপের কাহিনী । এই বুঝি ফিরে ফিরে আসে 
চাপ চাপ রক্ত  -  জঙ্ঘা বেয়ে দক্ষিণে মেঘদলে - 



তিন 

আরও আটকে রেখো সহজ কোমর পেঁচিয়ে রাখা শাড়ি, 
অথবা জটিল হও পালাগানের সহচরী ।  এই জংলিপনাতে 
কিছু সময় তো দাও - যেখানে দৌড়ে দৌড়ে হৃদয়টা 
বেড়ে যেতে পারে জঙ্গলের পরিধি  মতো -  এই জৈষ্ঠ্যে  
দম বাড়াতে পারলেই  সাপুড়েরা বুঝে নেবে মিথ্যে রানীর গন্ধ ।  
যতই উড়ুক্কু সাপ হোক এক্সিট পোলের সংখ্যা গুলো 
পেরোতে পারবে না আর  -  




চার

কারও কোন খুঁত নেই এমন ঠাট্টা না করাই ভালো  -  
 তুবড়ানো গালে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কলপগুলো জ্বলজ্বল করছে
 ত্রিফলা বাতিতে ।  চাপা দিতে চাইলেও দগদগে সাদা দাড়ি 
ভেসে ওঠে রোড শো'র আলোয়  - 
কারা যে হাত নাড়ে নিজের খুলির ভিতর?  

অবিরাম জলপড়ার শব্দে নাচে নন্দলালা  - মাখন চুরির
 অভিজ্ঞতায় নাড়তে থাকে হাতের নাড়ু ,  টোপ খাওয়া 
রোদে উপচে পড়ে গ্লাসের টলটলে মদ  - 
তখনই মুখোসের দিকে তাকাও  - অস্বীকারের ঢেউয়ে 
যে মদের দোকান গুলো ভেসে আসে ,  ঠিক তেমনই 
কোন একদিন ওদের আলাপ  -  সেগুলোই এলেমেলো 
করে দেয় নিজস্ব আমবন  - কপালের কাটা দাগে ফুটে 
ওঠে বিপন্নতা - 



পাঁচ

মৃত্যুর আগে ওগো নীল পাতার ধ্বনি - ঝিকমিক করে ধর্মখুন -  
অতীত এসেছে হত্যার জন্ম নিয়ে । অস্তহীন দিন দিন খরার 
মাঝে সদর দরজা খোলা আছে , সুড়ঙ্গ ভেঙে যত কিছুই দেখি রোজ  - 
নিজেকে পোড়াচ্ছে রাতের শাখা -যেন নিদ্রার নিচে এক ক্লান্ত কাক বসে - 
সময় পেরিয়ে যেতে যেতে কোথায় যেন যায়  -   
তারপর উধাও চিন্তামণি - তারপর হাজার বছর সেই অস্থিরতা  - 
গোপন সংক্রমণে ছেয়ে যাচ্ছে সমস্ত বসবাস - এ কাজ কারও নয়  - 
এ কাজ যন্ত্রণারও নয় , একটি খাঁচার ভিতর দুর্লভ মাংসপিণ্ডের মতো ভালোই তো আছি   
নিকটে প্রাণযোগে প্রাণ রাখতে গিয়ে সবুজ ঘাসে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে সংক্রমণ 
যেভাবে কুকুরটি লালা ঝরাতে থাকে - যদিও দূরে মঞ্চের নিচে 
অন্ধকার মাথাগুলো - জন্মের ভেতর শিখে গেছে জিভ লুকোতে - 



লক্ষ্মী কান্ত মণ্ডল