দুটি কবিতা
পৃথিবীর অর্ধেকের বেশি মানুষ নিয়ে জাহাজটা ভেসে চলেছে
পৃথিবীর
অর্ধেকের বেশি মানুষ নিয়ে জাহাজটা
ভেসে চলেছে
ধরা না হলে ও
অসংখ্য জীবজন্তুতে ভরা
কুয়াশা মেঘ
আর শিশির খেয়ে নিয়েছে তার আত্মা
মাথার ওপর
আকাশ একটি ডেকের মতো
যন্ত্রনার
হাত থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য মলমের মতো গাছ
ধ্বংসের থাবা
ক্ষয়ে গেছে
পাথর
চুনের প্রলেপ
দেওয়া
সুমদ্র একটি
হারানো ঠিকানা
কোনো
অববাহিকা নেই
খুঁজে পাওয়া
যায় না মরুভূমি
উপজাতিদের
তাঁবু গুলো নষ্ট হয়ে যাওয়া পালকের স্থাপত্য
আর দু চারটি
শহর শরীরের বিশ্রী আবের মতো
ছায়ায় কিছু
ভালোবাসা রয়েছে জড়িয়ে
কয়েকটা যুগ
বিকেলের সূর্য
নির্লিপ্ত
পিরামিড যেমন হয়
সমাধিক্ষেত্রের
ওপর হাত
এবং যুদ্ধ
বিগ্রহ
পৃথিবী ঈশ্বরের
বিজ্ঞাপনের মতো ভাসছে
পৃথিবী ঈশ্বরের
বিজ্ঞাপনের মতো ভাসছে
সূর্য ডুবছে সংক্রামক
দুঃখের নৌকার মতো
নদী তীরে জীবনের
বিপর্যয়ের সারিসারি দোকান
আদিগন্ত পাঠশালা আর
খোলা
পাতার ইতিহাস
বাতাসে মুরগির পাল
কুয়াশায় মোড়া
বিস্কুটের প্যাকেটের মতো অতি যত্নের কয়েকটি ঝোপ ঝাড়
দেয়ালের গায়ে অরণ্য
পুড়ছে
ফুলের পাপড়ির মতো আগুন
শোনা যাচ্ছে কাঠের
কণ্ঠস্বর
মানুষ
আর তার আত্মার বাজনা
রাতের আকাশ একটি সমাধি
চাকার প্রত্যাবর্তনের
মতো
উপত্যকায় মূর্তিমান
শূন্য
কোনো কোনো রাতে চাঁদে
চাষিদের যে কাজ হয় তারই ছায়া পড়ে গভীর জলের ওপরে
তারপর অনেক দূরে জলের
উৎসের মুখে অনবরত নির্জন নৌকা ডুবছে অনন্ত কাল
পৃথিবী হিংসুটে ঈশ্বরের
বিজ্ঞাপনের মতো ভাসছে
গোলাম রসুল