বহুমাত্রিক সম্পর্ক বা চরিত্রহননের গালগল্প
১)
আমি কি আপনার কাছে বেড়াল মাত্র ।
আপনার দেহবাসভূমি থেকে নেমে আসা
নীল রামধনুরা দেখুন বর্নদিগন্তে সেজে উঠেছে।
দেখুন আমার গায়ে কোন লোম নেই।
অনুসরণগুলো এক একটি যৌন মেধাবী ব্লগপোষ্ট।
এই যে প্রথাগত ইঁদুরে হাত দিতে গিয়ে আপনার হাতের উপরিতল
করতলে মিলিত হলো ,
উভয়ত মিউ মিউ ডেকে উঠি।
জানিনা আমি কারো পোষ্য কিনা
এক ভাঙনহীন
দুর্বাদল রেখায়।
জানি না আমাদের গন্তব্যগুলো কোন সুযোগী দুগ্ধ ঋতু,
মৎস্য ও আঁশের মধ্যবর্তী কোন কমলালেবু কিনা ।
আমাদের মরনগুলো, খাদ্য ভাবনাগুলো,
বৌদ্ধমন্দির অদর্শনের দিনগুলো
রেনু প্রতিস্থাপনের
মহলে মহলে
সূবর্ণ আয়নায় প্রতিস্থাপিত অনালোকিত মিউ মিউ
ধর্মে জাগরুক ।
আসুন এই ভদ্রচিত আসরে
কবিজন্মগুলো প্রথমে মনুষ্য জন্মের আরকে ও পরে
থাবা জন্মের দিকে এক মনোলোভা মিঊট কথন।
২)
একাগ্রতা আর মিরাকুলাস এসকেপের মধ্যে
এক বনবালক কুয়াসার ভেতর অর্ন্তহিত হয়ে যাচ্ছে।
কিছু খুনসুটির মত ঠিকানা,
রাত বাংলোর মনভোলানো আলো,
নৈশ রাতে ঠোঁটে না তোলা নীল গ্লাসের মৌন কোলাহলে বুঝতে
পারিনি
কার পিছু নিয়েছে আমি।
ও হ্যামলিন তোমার বাঁশি কেন একাই বাজে।
যে যার নিজস্ব যাযাবরবৃত্তি বন জ্যোৎস্নায়
ভাসিয়ে দিতে দিতে চমৎকার পুরুষও নিজেকে কনসিভ করে।
তখন কোন কোন ভার্চুয়াল মগ্নতা মহীরুহ বটের মত।
অক্ষত যোনী থেকে নেমে আসা এক রাজন্য
ভুলে যায় কে তার মগ্ন প্রেমিকা।
এই সব নন্দনতত্ত্ব ভেদ করে কে কে
জন্মান্তরের ইতিহাস লিখবে হাত তোলো।
৩)
অনুমান করো আমি সেই চম্পারণ।
ভূমিহীন মাধুর্যে শ্রদ্ধা পাখি ডিমে তা দিতে গিয়ে
দেখে নেয় পালক জুড়ে পরাজিত গ্লানি।
অনুমান করো এই ঘাটে নবকুমার
ভাঙা লগির কাছে গলবস্ত্র নেমে আসে আকাশময়তায়।
তখন নভমন্ডলের নৈঋতে
চম্পারণ নগরের মৃত ঘোটকী স্তব শুরুর সংজ্ঞা নির্মাণ কোরে
রজঃস্নানে লিপ্ত হবে।
হে রজঃধারা আমাকে প্রণাম শেখাও।
দেখ ধর্মসন্ধিতে কতগুলো রাজপুত্রী
অনূঢ়া তিলের মাহাত্ম রচনা করে।
চিরঞ্জীব হালদার