দুটি কবিতা
অনৈসর্গিক
মেয়েটি অন্ধ, ছেলেটির
দোষ, খোঁড়া ।
দু'জনে পেরুবে নড়বড়ে সেতু
।
সেতুটির নিচে ছিল একটি কুমীর...
তার জিভে জল । নিশপিশ করে ওঠে দাঁতগুলি ।
ছেলেটির হাত ধরে মেয়েটি এগিয়ে যেতে থাকে
কুমীর দেখে না সে, ছেলেটি মেয়েটিকে
লক্ষ্য করে, তার সরল বিশ্বাস
দেখে
তাকে বুকে জড়িয়ে ধরেছে ।
ক্রমে কুমীরের পেটে চলে যেতে যেতে
ছেলেটি, হ্যাঁ, ছেলেটি চুম্বন এঁকে দেয় তার বুকে ।
ঐ চুম্বনদাগ নিয়ে আজও মেয়েটি সেজেছে প্রজাপতি !
গূঢ়তন্ত্র
অলাতচক্রের কথা তোমাকে বলেছি ?
তন্ত্রসার থেকে উঠে এসে,
বস, এই যন্ত্রে ।
চারদিকে গণ্ডী কেটে দিচ্ছি ।
বস, নগ্ন হয়ে ।
তার আগে, চান করে এস,
দুধ মধু দিয়ে ।
দু'হাত বাড়াও এইদিকে ।
হ্যাঁ, তাকাও ।
লজ্জা ভুলে যাও ।
সমস্ত শরীরে মেখে দেব চন্দনের তীব্র ঘ্রাণ ।
একটু এগিয়ে এস । কি হল?
কাঁপছ কেন তুমি ?
এই সাধনায় এভাবেই সব হয় ।
শরীরের কোষে কোষে আগুন ছড়াবে ।
এতে ভয় পেলে ?
তাহলে কি করে সিদ্ধিলাভ হবে, বল ?
1 মন্তব্যসমূহ
এভাবেই সাধনা করেছেন কবি জীবনভর ।
উত্তরমুছুন