ড্রইংরুম থেকে ভেসে আসছিল উদ্দাম বাজনা ও উল্লাস। জীবনে বেঁচে থাকার পরিশ্রমলব্ধ
উত্তেজনা। যৌবনের এই তীব্র আশ্লেষে অন্তিমের একরাশ অভিমান ও আফসোস ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল
অতীতে। মনে পড়ে যাচ্ছিল রঞ্জনার সঙ্গে সন্ধ্যানুরাগশেষে বাড়ি ফিরে বাবা মার ক্লিষ্ট
মুখদুটির কথা।
"খাবি না!" মার সন্দিগ্ধ স্বর।
"খেয়ে এসেছি ", কী অনায়াস উত্তর!!
বাবা মার অস্তিত্ব যেন হাওয়ায় উড়ে গেছিল!!
ছটফট করে উঠে বসলেন অন্তিম। কী ভীষণ মিল এই বার্ধক্য ও জড়ত্বের শেষ সীমায়!!
সেদিন কী ইচ্ছে করলে বাবা মায়ের সঙ্গে দুগ্রাস ভাত খেতে পারতেন না!! পারতেন
কিন্তু করেননি। পদমর্যাদার গর্ব ছিল সেই নিষেধে।
সেই জীবনের কী হাস্যকর পরিণতি!!
হাস্যকর!! নয়!! বাবা মায়ের তীব্র অন্তর্ভেদী দৃষ্টির সামনে কী অকিঞ্চিতকর
ছিল সেই সংলাপ!!
আজ খুব সংগোপনে অন্তিম বুঝে নিলেন নিজের অবস্থান। রঞ্জনার অবর্তমানে ছেলে
বৌমার অবহেলায় ঘুনপোকায় কাটা জীবনে তীব্র বিদ্বেষ নিয়ে নম্বর মিলালেন বৃদ্ধাবাসে
1 মন্তব্যসমূহ
বানপ্রস্থ
উত্তরমুছুনঅনুগল্পটা ভালো লাগলো।