সাম্প্রতিক

6/recent/ticker-posts

নিমাই জানা:গুচ্ছ কবিতা

 


 গুচ্ছ কবিতা



 

উষ্ণায়ন ঠোঁট ও শিথিল অব্যয় পুরুষদের জননাঙ্গ



৪৫° উষ্ণায়ন থিটা চিহ্নের মতো কোন এক রক্তাক্ত বহবলপুরের আদিম মানুষেরা জীবাশ্মহীন আবহবিকার মাছেদের গায়ে অক্ষরময় নৌকার কঙ্কাল চিহ্ন এঁকে দিচ্ছে ১৩ টি ফসফেট দাঁতের ত্রিকোণমিতিক সম্প্রদান কারক দিয়ে ,

বিতস্তা জোৎস্নার ভেতরে যে ফুলকাহীন নক্ষত্রেরা উড়ে বেড়ায় তারা এখনো একা একা তৃতীয় পাঁজরের ভেতর সাদা রঙের আগুন জ্বেলে বর্ণহীন প্লাস্টিড পরিচ্ছদ পরে নেয় অ্যামাইনো পুরুষ হয়ে
 , আমার নৌকার ভিতরে থাকা স্যালিসাইক্লিক যৌগগুলো রাতের নাবিক হয়ে হলুদ মোমবাতি জ্বালছে
আমি নৃতত্ত্ব সমাধির ভেতর কোন এক অ্যাঞ্জোলা নারীর মুখাবয়ব তৈরি করেছি শিথিল নোনা মাটির স্ত্রীলিঙ্গ দিয়ে
 ,

এসো শর্ক ও মাতন্ড সকলেই সুরতপুরের কোন এক সারথী হয়ে যাই এই মধ্যাহ্ন অবকর্ষের অবলোহিত রক্ত কনায়
 ,
রক্ত ফেটে বেরিয়ে আসছে কোন উত্তর নেই
 ,  দক্ষিণ নেই আমার শ্রীখন্ডে , মধ্য মস্তিষ্কে , লঘু মস্তিষ্কে আর পাঁজরের অনন্ত খন্ডের কাছে
সিস্টোলিক বৃত্তচাপের সরীসৃপেরা চন্দ্রবিন্দু বিষয়ক সব শূন্যযোজী পারদের গায়ে এক ফোঁটা ভিনিগার রেখে দিল
 , আমরা তখন স্ফুটনাঙ্কহীন প্রদেশের যাওয়ার পর আমার মৃত মায়েদের শল্কমোচন আবিষ্কার করি আম্লিক বৃষ্টির জিভ ছিঁড়ে,

নদীর মতো আর কেউ গর্ভপাত বিশেষজ্ঞ ছিল না বলে ত্রিশূলের ডগায় এনাকার্ডিয়াম ফল ঝুলে আছে
 , মা আসলে বৃশ্চিক লগ্নের ভূমধ্য নারী ছিল যে একসাথে পৃথিবী খেতে পারতো

 

 

 



 নগ্ন আপেলের বাগান ও ষষ্ঠ কেশর ফুলের দ্রাঘিমা



বৈসাদৃশ্য আপেল বাগানের ভেতর থাকা ইলেক্ট্রোলাইটিক দ্রাঘিমাংশ পাখিরা যতিচিহ্নের সমাঙ্গ দর্পণ নিয়ে প্রতিবিম্বের তৃতীয় জেন্ডার নির্ণয় করছে বৃষ্টির জননতন্ত্র আবিষ্কার হয়নি বলে

আমি নীললোহিত চক্র নিয়ে উৎস মুখের ভূখণ্ড উপড়ে চলি
 , শুধু জলতলের নিম্নাঙ্গ বিবর্জিত সমক্ষেত্রের কাছে আবারো বিনিদ্র কোন ঈশ্বরীর শীতল ধ্যানাসনে নিজের শরীর রেখে আসি পবিত্র জলে শুদ্ধিকরণের জন্য , আমার কোন মন্ত্র নেই , দাহিকা নেই , অনুঃস্বার নেই
আমি কোন স্বর্ণালঙ্কারে মুদ্রিত কোন পুরুষ নয়
 , অসংখ্য হলুদ ফুল দিয়ে হেমাঙ্গ দর্শন করি উন্মাদ হয়ে যাওয়ার পর
আলফাবেটিক রোদের কাছে তিনটি কার্বোভেজ সাপ আজ বৃষ্টিপাতের ঘনত্ব নির্ণয় করছে ফাস্ট ফিলাল কেশর ফুলের ষষ্ঠ ধাতুর অব্যয় রন্ধ্র দিয়ে
শুধু মৃদু মৃদু দহনে একা একা শাঁখ বাজাচ্ছে উষরার গান শুনে বসে থাকা কোন এক ভার্গব
  ঋষির দল ,  শুধু ব্রততী ক্ষেত্রফলের বালকেরা সাবিত্রী হয়ে দৌড়ে বেড়াচ্ছে

মৃত মা এবং জীবাত্মার ইন্টিগ্রেশনগুলো বারবার ধ্রুব পদের সাথে একটি গলনাঙ্কহীন বরফের তিন নখর বিশিষ্ট কৈলাস সৃষ্টি করছে
 , একটি কালো ফসফরাস হীন জিরাফ রাতের প্রতিটি ডানা ডাহুক গন্ধ রেখে যাচ্ছে লাল আঙ্গুর ফলের মতো

 

 




 নপুংসক সিলেবাস ও " র " চিহ্নের চন্দন বৃক্ষ বৃষ্টিপাত




বৃষ্টির মতো শীতল কোন পরকীয়া শীতকালের কাছে এসে আমরা তিনজন সব জীবিত পা গুলোকে এক জায়গায় রেখে জমাট বরফ হয়ে যাচ্ছি ,

অলীক উষ্ণতার পর আর আমাদের নপুংসক রোদ কোনদিন অচ্ছুৎ আশ্রম থেকে নিয়ে যায়নি
 ,  শুধু বৃষ্টির ফোঁটার উপর নগ্ন পুরুষেরা নাচতে নাচতে সিলেবাসের ভেতর নীল বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রেখে যায়
এ পথ দিয়েই কতবার অশ্বত্থামা তীর নিয়ে হেঁটে গেছেন মৃত্যুর পর
সারারাত স্ট্রবেরি অন্ধকারে হারিয়ে যাওয়ার পর চন্দ্রভাগা নারীদের তুলে আনি নিশুতি হিরণ্যক্ষেত্র থেকে
আমার জিভের "
  র "  চিহ্নের সব ত্রিকোণমিতিক রতিগুলো লুকানো থাকে লাইসোজোম দিয়ে , চন্দন বৃক্ষের ভেতর ঢুকে গেলাম শ্রী হরি পূজা করবে বলে

সিমেট্রিক্যাল কোন নিউক্লীয় ফিউশানের মতো ১৩ জোড়া নীল দ্রাবক গুনে গুনে ক্রোমোজোমের হরিদ্রাভ তরল মাথায় ঢেলে আজ সরীসৃপের শান্তি সস্ত্যায়ন পর্ব সেরে আসলাম
 ,
ঈশ্বরী আজও কৃষ্ণচূড়ার মতো একটা দগ্ধ বাঁশি বাজিয়ে বাজিয়ে নৌকার তলদেশে শুয়ে পড়েন শ্বেত জবা ফুলের জন্য
মৃত্যু হয়ে যাওয়ার পর যে আত্মা ছেলের মতো লাল লাল একটা কালো ভূত হয়ে আমার দিকে সাপের মতো এগিয়ে আসে
আমি তার সাথে আগুনের প্রহেলিকা শক্তি জ্বেলে দিলাম

এসো ধনুক তোমার ছেঁড়া অথচ উলঙ্গ ঠোঁটের ভেতরে সাবকিউটনেসের যে নীল কেলাসাকার পুরুষ থাকে তাতে লাল ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের ঝাউগাছ সারারাত আগুনের মতো অশ্বত্থের চারাপত্র রোপন করি দক্ষিণ ব্রহ্মপুত্র সেজে
 

 

 


  নিমাই জানা

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ