দুটি কবিতা
দেবদাসী
যাকে জড়ালাম তিনিই
জগজ্জনী। তারপর দুপুর ঘড়িতে গড়ালো বিকেলতায়। দিনের সেই সকল নয় আকর্ণ। আনন্দ পচে দেওয়ালে জন্মলাভ করেছে এক উষ্ণীষ। যারা টের পেল তাদেরও
গোড়ালিতে রোমাঞ্চ। জীবনদায়িনী সেকেলে হয়নি
বুঝে ধীরে রেলিংতা ও আলোয় চুন-সুড়কির ছাদে। সেখানে মুলাকাৎ মলিনভাবাপন্ন, সমাধিনাম্নী এক বৈশ্যের সাথে। রসপানের স্মৃতির হেরফের ঘটে।
মহাকাশ এঁটে তাকিয়ে থাকি দূরবীনের দিকে।
শাস্ত্রে এর নাম উন্মনী দশা। অগর্জনের বাতচিত ও বিলকুল। শৈলশিখরের জানকারি ঘোরে বেতার তরঙ্গে।
নিজেকে ব্রহ্ম ভাবার দিন শেষ হল
আড়মোড়া ভাঙছে ক্যারাটে প্রশিক্ষণ
শিবিরের শুকতারাটি। লিলিফুলময় এই উপাখ্যান। যাবজ্জীবনের ইতিউতি সর্বাঙ্গে দৃষ্ট।
স্নেহাঞ্চলের যতটুকু গতাগতরহিত। এখানে রেললাইন পাতা হয়েছে শ্রীহরির। এখানে ধর্ষিতা প্রেমিকা হয়ে
উঠেছিল একদিন।
নিজেকেই আকাশের মত প্রতিভাত
দেখি। কোয়ার্টারঘন বৃষ্টিতে ঝাপসা হয়ে আসে চিত্রচোরের অভিমুখ। এক নিঃশব্দ ওষুধ-কুঠুরিতে বন্দী ফরাসি চিত্রকরের আত্মা – অম্লানবদনে
সেই চোরাকুঠুরি পেরিয়ে এগিয়ে আসে বর্ণালী, তার কোনো বিকার দেখি না। বৃথাই তবে ভীতি – এই ভীতি যার ফলে
অনর্থক গমনাগমন চলেছে কত যুগ ধরে।
2 মন্তব্যসমূহ
কবিতা দুটো আমার চিন্তার খোরাক হলো। ভাবিত, প্রতিটি বাক্যে; আর কবিতার এই বৈশিষ্ট্যের জন্যই অভিষেক রায়ের কবিতা পড়ি। দারুণ ভালো লাগে। শুভেচ্ছা।
উত্তরমুছুনকবি কবিতা শুরু করেন ও শেষ করেন পাঠক। আপনাদের মত বিদগ্ধ পাঠক মণ্ডলী রয়েছে বলেই কিছু নতুন করার সাহস পাই। সত্যি না হলে এই যাত্রা সম্ভব হত না। ঈস্বরের কাছে আমার প্রার্থনা যেন কখনও এই ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত না হই। ভালো থাকবেন, আনন্দে থাকবেন।
মুছুন