মথুরানগরে
বুকে বুকে অন্তর্হিত হয় শোক। হে নীলাম্বর, দ্যাখো যমুনার জলে সূর্যোদয়
কি করুণ, অদূরে গোচারণভূমিতে নেমে আসছে ঝাঁঝালো অম্লের
ঘনীভূত বর্ষণ। অস্পষ্ট ছায়ায়
হারিয়ে যাচ্ছে ধেনুঘ্রাণ। এইতো সময়,
খুঁজে নাও তোমার মোহনবাঁশি!
ভাসান
ঈশ্বর বলতে যা যা জানি, সবই ধূসর তমিস্রার বুকে ভাসিয়ে দিলাম। ছিলাকাটা রোদ থেকে
কলসভর্তি উচ্ছ্বাস মেঘানুসঙ্গের শমিত পুত্রকন্যাদল, গৃহস্থালি,
দশকর্মা সকলই ভাসিয়ে দিই ধুলোর অলকানন্দায়। পাতার বুকে এঁকে রাখা
গোলামচিহ্নকে ভেসে যেতে দেখি নিবিড় তরঙ্গে। লালনীল প্রজাপতির বিকেল যখন ঢেকে রাখি
শীতের উত্তরীয়, আকাশের কুলুঙ্গি থেকে নামিয়ে এনেছিলাম
সন্ন্যাসীর বেদমন্ত্র। তাওতো ভাসিয়ে দিয়েছি একদা!
আয়ুর্বেদ
তোমাদের ঐশ্বর্যের ভেতরে একটি অন্ধকার শেকড়ের সন্ধানে
ছিলাম এতদিন। পাতায় পাতায় নিঃসঙ্গ আলোর জরিবুটি, মেঘে ঢাকা উপসংহার, লালচে বাতাবীর
অভিমানে ভেসে গেছে বিষাদের নাম সংকীর্তন। নাড়িপথে রেখে আসা প্রমাদচূর্ণের নামকরণ
করি যৌনতা। পাতার প্রতিটি অক্ষরেখায় অদেখা মৌবন বিছিয়ে দিয়ে গেছে সূর্যোদয়ের
বালকেরা। অসংলগ্ন বাতাসের
সুরে সুরে ঘুম ভাঙে চরকের।
আলিবাবা
বুড়ি ছুঁয়ে নেমে আসে সকালের আলো। বালিয়াড়ির শোক
স্তিমিত হলে ডানায় ভর করে পালকের সোহাগ, অপরাহ্ণের চঞ্চলতা। ঝোলায় আশরাফী ভরে আমিও হয়ে উঠি কবেকার আলিবাবা!
0 মন্তব্যসমূহ