নিমাই জানা

 

একমুখী সমীকরণ ও ধাতুময় পললেশ্বরী

বরফ ছায়ার নিচে অসংখ্য পাখিরা ক্রমশ ধনাত্মক হয়ে উঠেছে

গুণিতক নির্ণয়ের আগে সুজাতাও এখানে এসে গ্রানাইট ছায়া নিয়ে পরকীয়ার রোদ মিলে দেয়,  নিজের সন্ন্যাস রঙের কপোতাক্ষ নদের তীরে চন্দ্রাতপ ছায়াটুকু রেখে যাবে বিয়োগান্তক দধীচি আশ্রমে

আমি প্রতিদিন নিজের লিঙ্গ চিহ্নের ভৌত চিহ্নটিকে নিউক্লিয় রং-এর জলে ডোবানো তৃতীয় চোখ দিয়ে মহাশ্মশান করে চলি পাথরে ঘরের প্রতিটি স্নানাগার ,

এখানেই লাল পলিয়েস্টার জমা হলে আমাদের সব ধাতুময় তরল বীর্যগুলোই ঠকঠক কাঠের বিছানার উপর একমুখী সমীকরণ মেনে চলে , পললেশ্বরী জলে ভিজে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে ওঠে মুদ্রাদোষ অসুখের মতো
আমি শুধু মৃত সমান্তরাল বিন্যাসের মতো ঈশ্বরের স্থির চোখ দিয়ে নরম নোনাচর এঁকে চলি উর্বর কালীদহের ৩০ যোজন নাভিকুন্ডের ভেতরে থাকা এক অজগরের স্ত্রীলিঙ্গের কাছে,

আজ একদম কোন মাংসপিন্ডের কথা নয় ,

রুপোলি রংয়ের পাতাবাহারগুলো রাত্রিকালীন যানবাহনের পেছনে আমার মৃত্যু রঙের লাল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছে কোন এক অবনত খনিজহীন গর্ভস্থ গুহার দিকে , আজ কিছু বর্ষা ঋতুর কথা হোক, যাদের কোনো মধ্য সহগ ও লুব্রিকেটেড গ্রন্থিটি স্ট্রবেরি রঙে জড়িয়ে দেবে আমাদের নীল পরিচ্ছদ সমগ্রের সাথে,

আমি প্রতিদিন ১৬ জোড়া সূর্যভাঙা সুদর্শন পুরুষ মানুষদের গিলে গিলে খাব বজ্রপাতের মতো উঠোনে দাঁড়িয়ে , আমি আসলে আমারই পূর্বজন্ম

বিধবা রঙের জবা ফুলগুলো বর্ণমোচীর গণিত কষছে নিরঞ্জন কুমার হয়ে