অতল জল
ক’দিন থেকেই
ঘ্যান ঘ্যান করছে মিত্রা। “একদিন একটু আগেও তো আসতে পার!
বাড়িতে বৌ নামক এক প্রাণী বাস করে তার খবরাখবর নিতে পার। একদিন সিটি সেন্টার নিয়ে
যেতে পার, একদিন আইনক্সে নিয়ে যেতে পার! নতুন নতুন সিনেমা
বেরোয়, সবাই দেখে এসে আমাদের স্কুলের বন্ধুদের হোয়াটসঅ্যাপ
গ্রুপে কমেন্টের বন্যা বইয়ে দেয়। আমাকে দেখিই নই ভাব করে চুপ করে থাকতে হয়।“
সুদীপ্ত উত্তর দেয় না। কি উত্তর দেবে? আইনক্সে
একদিন সিনেমা দেখা মানে মিনিমাম সাআতশো টাকা বেরিয়ে যাওয়া। মাত্র অমন কতকগুলো
সাতশো জড়ো করেই তো মাইনে পায় সুদীপ্ত। শুনতেই গালভরা নাম, কর্পোরেট
সেক্টর। মাইনের বহর লোককে বলা তো দূরস্থান, নিজের বাবা,
মা বৌকে বলতেও বাধে সুদীপ্তর। বাবার তো বদ্ধমূল ধারণা, সুদীপ্ত চেষ্টা করে নি। যেমন চেষ্টা বাবা করেছিল পয়সা ঢেলে সুদীপ্তকে
প্রাইভেট ইঞ্জিনীয়ারিং কলেজে পড়াতে। পড়াশোনাতে খুব একটা খারাপ ছিল না সুদীপ্ত।
জয়েন্টে র্যাঙ্ক একটু পিছনের দিকে হওয়ায় বাবা কোন রিস্ক নেয় নি। প্রাইভেট
ইঞ্জিনীয়ারীং কলেজে যথেষ্ট টাকা গুনে ভর্তি করে দিয়েছে। আই টি পেয়েও গেছিল
সুদীপ্ত। বাবার বন্ধুরা বাবাকে বুঝিয়েছিল, আই টি তে সোনা
ফলে। সুতরাং সুদীপ্ত মালদায় আই টি পড়তে গেছিল। ক্যাম্পাসিং হল। চাকরীও হল। বন্ধুরা
উচ্ছ্বসিত। ক্যাম্পাসিং এ সবার চাকরী হয় না আজকাল। সুদীপ্ত সেকটার ফাইভের হাফ
বাসিন্দা হল। বারো হাজার টাকার বিনিময়ে বারো ঘন্টার শ্রমদান। দরকার হলে আরো বেশী।
টার্গেট পূরণের ব্যাপার আছে না!
চাকরীর শুরুতে বাবা দমে গেছিল একটু। তারপর বলেছিল, “পরিশ্রম
কর, উন্নতি ঠিক হবেই। তোমাকে তো আর বাড়ি ভাড়া করে থাকতে
হচ্ছে না! সংসারও টানতে হচ্ছে না। এখন তো আমার চাকরী আরো দুবছর আছেই। তারপর
রিটায়ার করেও তোমার এখনকার বেতনের তিনগুণ পেনশন পাব। সংসার ভালোভাবেই চলবে। তুমি
মন দিয়ে চাকরীটা কর। সুদীপ্ত মন দিয়েই চাকরীটা করতে চেয়েছে। কাঁটায় কাঁটায় সকাল
আটটায় অফিস পৌঁছানো, রাত্রে বাড়ি ফিরেও কাজ নিয়ে বসা সবই
করেছে। কিন্তু মাইনেটা বেড়েছে শামুকের মত। আর সুদীপ্ত গুটিয়ে গেছে সেই শামুকের
খোলের ভেতর।
চারবছর চাকরী করার পর মিত্রাদের বাড়ি থেকে ব্যস্ত হয়ে উঠেছে। মিত্রার বাবা
সুদীপ্তর বাবার সাথে যোগাযোগ করেছে। ছোটবেলা থেকে একই পাড়ায় বড় হয়ে ওঠা। মিত্রার
বাবা সাধারণ চাকরী করেন। চারবছর চাকরী করার পরও ছেলের বাড়ি থেকে বিয়ের কথা উঠছে না
বলে তো মেয়ের বাবার বসে থাকলে চলে না! তাই মিত্রার বাবা সুদীপ্তর বাবার কাছে
প্রস্তাব রেখেছেন, “আপনি তো জানেনই ওরা ছোটবেলা থেকেই বন্ধু।
আপনার ছেলে হীরের টুকরো। মেলামেশায় আপত্তি আমরা কোনওদিনই করি নই। এখন ভাবছি চারহাত
এক হয়ে গেলেই ভালো হয়। সুদীপ্তর চাকরীও তো নয় নয় করে চারবছর হল। আমার চাকরী শেষ
হয়ে এল বলে। এখন বিয়েটা না দিতে পারলে…… আর বোঝেনই তো বিয়ে না করে বেশিদিন
ঘোরাঘুরি করলে আমাদের সমাজে কথা ওঠেই। মিত্রার ছোট বোনটাও আছে……” সুদীপ্তর বাবা বলেছেন, “হ্যাঁ, বিয়েটা হয়ে গেলেই হয়।“
সুদীপ্তকে ডেকে বলেছেন, “তোমার প্ল্যানটা কি?
মিত্রার সাথে শুধু ঘুরেই বেড়াবে? তার বাবা মার
তো টেনশন হয়, নাকি? নিজের বাবা মার কথা
নাহয় নাই ভাবলে! পাড়ায়, মলে না ঘুরে বেড়িয়ে বিয়েটা করে নিলে
হয় না?” সুদীপ্ত মিত্রার সঙ্গে পাড়ায় ঘোরে না।ছোটবেলায়
একসঙ্গে টিউশন যেত সেকথা আলাদা। কিন্তু সুদীপ্তর মাইনে বেড়ে এখন ষোলহাজার। সুদীপ্ত
ভাবে, মিত্রার বাড়ির লোক বিয়ের সময় মাইনে জানতে চাইবে না
নিশ্চয়ই! কিন্তু এই মাইনেয় বিয়ে করা যায়? বাবার বাড়িতে আছে,
সংসারে টাকা দিতে হচ্ছে না সব ঠিক, কিন্তু
বিয়ে করতে গেলে নিজের হিম্মতেই তো করা উচিত। নিজে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থেকে সংসার
চালাতে পারবে এমনভাবে। সেই হিম্মত কবে অর্জন করতে পারবে সুদীপ্ত জানে না। কিন্তু
সুদীপ্ত আশায় আশায় থাকে। তাই মিনমিন করে বলে, “আর ক’টা দিন সবুর করলে হয় না?” সুদীপ্তর বাবা বলেন,
“কেন? আর ক’টা দিন বাদে
তুমি কি তোমার কোম্পানীর সি ই ও হয়ে যাবে?” সুদীপ্ত উত্তর
দিতে পারে না। সে অলীক আশা না করার মত বুদ্ধি সুদীপ্তর মাথায় আছে। কিন্তু বাবা কেন
সুদিপ্তর সঙ্গে এমন ব্যবহার করে সুদীপ্ত বুঝতে পারে না। সুদীপ্ত পায়ের নখ দিয়ে
মেঝেতে দাগ দিতে থাকে। সুদিপ্তর বাবা স্বগতোক্তির মত বলেন, “চেষ্টা
নেই কোনও। এই কোম্পানীতে মাআইনে বাড়াচ্ছে না তো অন্য কোম্পানীতে যা! বিশ্বাসদার
ছেলে তো আজ টি সি এস তো কাল ইনফোসিস করে বেড়াচ্ছে। চেষ্টা থাকতে হয়…” সুদীপ্তর মনে হয় চেষ্টাটা কি বাবা বা বাবাদের জেনারেশানের কেউ করেছেন কি?
পরবর্তী প্রজন্মের জন্য? পর পর ইঞ্জিনীয়ারীং
কলেজ খোলা বা টাকা ঢেলে তাতে পড়ানো নয়। পরবর্তী প্রজন্মের জন্য সত্যিকারের সুযোগ
করে দেওয়া। সুদিপ্ত চেষ্টা করে ভাবনাটা মাথা থেকে তাড়ায়।
সুদীপ্তর বাবার চেষ্টার খামতি না থাকায় সেইবছর মাঘমাসেই সুদীপ্ত আর
মিত্রার বিয়েটা হয়ে যায়। মিত্রাদের সাধারণ পরিবার। মিত্রাও তাই। বেশী দাবীদাওয়া
নেই মিত্রার। সিটিসেন্টারে বীড়াতে নিয়ে গেলে প্রথম প্রথম ভয়ে কাঁটা হয়ে থেকেছে,
না জানি কি বায়না করে নতুন বৌ! কিন্তু মিত্রা হাসিমুখে সব ঘুরে
দেখেই খুশী। এমনকি ভেতরে এককাপ কফিও খেতে চায় নি। সিটিসেন্টারের বাইরে ফুচকাওলার
থেকে দশটাকায় চারটে ফুচকা খেয়েছে। তারপর ঝালে হুস হাস করতে করতে বলেছে, “ধুস! এই ফুচকা! তাও দশটাকায় চারটে! আমাদের কার্তিকই ভাল।
দশটাকায় ছ’টা দেয়, একটা শুকনো ফাউ।
আলুমাখায় কত্ত মটর থাকে। মুখে দিতে কি স্বাদ! এখানে এইটুকু আলু দেয়……মটর নেই কিছু
না!” সুদিপ্ত আশ্বস্ত হয়েছেযেমন, তেমনই
একপশলা বৃষ্টি হওয়া মেঘের মত ফ্যাকাশে সাদা হয়ে গেছে। বৌকে সামান্য শখ আহ্লাদ
মেটানর ক্ষমতা তার চৌকোনা বাক্সের মাপে বাঁধা। ফেরার সময় অটো থেকে নেমে হাঁটতে
হাঁটতে কলকল করে কথা বলেছে মিত্রা। সুদীপ্ত দিনের শেষের ম্লান আলোর সঙ্গে নিভে
এসেছে। কথা বলতে পারে নি। মিত্রা অবশ্য ওসব খেয়ালও করে নি।
বিয়ের একবছর পর থেকেই মিত্রা টুকটাক টিউশনি করতে শুরু করেছে। টিউশনির টাকা
জমিয়ে শাশুড়িকে শাল, মাকে ঘরে পরার শাড়ি, বোনকে সালোয়ার কামিজের পিস কিনে দিয়েছে। সুদীপ্তর জন্যও টিশার্ট কিনে
এনেছে। তারপর সুদীপ্তর কাছে নিজের ঐকান্তিক ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। সুদিপ্ত কুঁকড়ে
গেছে। বলেছে, “ এখনই না, মিতু। এখন
আনলে মানুষ করব কি করে? এখন ভালো স্কুলে টিউশন ফি জান?
স্কুলবাস কত নেয়?” মিত্রা বলেছে, “নাহয় আমাদের মতই মানুষ হবে।“ এবার ছিটকে উঠেছে
সুদিপ্ত। “না, আমাদের মত মানুষ হলে
চলবে না। চাকরী বাকরির অবস্থা দেখেছ? চাকরী করা লোকেদের
অবস্থা দেখেছ?” চাকরী করা লোকেদের অবস্থা মিত্রা তো রোজই
দেখছে। মিত্রা আর কিছু বলে নি। তারপর থেকে সুদিপ্ত খুব সাবধানী হয়ে গেছে। মিত্রার
শারীরবৃত্তীয় চক্রের ভীষণ খেয়াল রাখতে শুরু করেছে। মিত্রা হাঁপিয়ে উঠেছে। তারপর
মিত্রার শাশুড়িমা উতলা হয়েছেন। মিত্রার মা জানতে চেয়েছেন মিত্রারা ডাক্তার
দেখিয়েছে কিনা। সুদীপ্তর পিসি প্রসাদী ফুল এনে মাথায় ছুঁইয়ে গেছেন।পারা প্রতিবেশিরা
মিত্রার মা আর শাশুড়িকে জেরায় জেরায় বিপর্যস্ত করেছে। সেও প্রায় পাঁচবছর আগেকার
কথা।
ইদানীং সুদিপ্ত আগের থেকে আরো গুটিয়ে গেছে। কোম্পানীর এক্সপ্যানশন তো হয়ই
নি, বরং কোম্পানীও যেন সুদিপ্তর মত গুটিয়ে গেছে। আর তাতেই
মাঝী মাঝে স্টাফ সারপ্লাস ঘোষণা করছে কোম্পানী।সারপ্লাস স্টাফদের কি হয় সবাই
জানে। নিজেকে প্রয়োজনীয় করে তলার তাগিদে সবাই দৌড়াচ্ছে। দৌড়াচ্ছে সুদীপ্তও। তবে
বড্ড হাঁপিয়ে যাচ্ছে। একদিন হালকা করে বলেছিল মিত্রাকে, “কোম্পানী যদি বসিয়ে দেয় কি হবে বলত?” শুনে
মিত্রা চুপ করে গেছিল। তারপর বলে উঠেছিল, “কি আর হবে! ঠাকুর
সেরকম করলে মেনে নিতে হবে। কিন্তু খাওয়াপরা জুটে যাবে ঠিক, দেখো…
তুমি তো এত ভালো কম্পিউটার জান, একটা কিয়স্ক খুললে হবে না?
কম্পিউটার কোচিং সেন্টার খুলবে……” সেসব করতে
টাকা লাগে। বসিয়ে দিলে কোম্পানী কত টাকা দেয়, বা আদৌ টাকা
দেয় কিনা সুদীপ্ত জানে না। টাকা কোথা থেকে আসবে? বাবা টাকা
দেবে না। সুদীপ্ত জানে। সুদীপ্তকে
নিরুত্তর দেখে মিত্রা বলে, “আর সেসব না করা গেলে আমি হোম
ডেলিভারির ব্যবসা করব। আমি খারাপ রাঁধি একথা তুমি বলতে পারবে না। আমি রেঁধে টিফিন
ক্যারিয়ারে ভরে ভরে দেব, তুমি সাইকেলে করে বারি বাড়ি পৌঁছে
দেবে। পারবে না?” পারবে না কেন সুদীপ্ত। দরকার পড়লে পারতে তো
হবেই। তবে এভাবে বাঁচার জন্য তার ইঞ্জিনীয়ারিং ডিগ্রীর দরকার
ছিল কি?
মিত্রার এই প্রাণখোলা স্বভাবটাই সুদীপ্তর জীবনে খোলা হাওয়া। কোনও
অবস্থাতেই হা হুতাশ না করী বেরিয়ে আসার কথা ভাবে। তাই মিত্রা যে নিক্তি মেপে কাজ
করবে না, সেটাই স্বাভাবিক। সুদিপ্তর অতিরিক্ত সাবধানতা বুঝে
উঠতে সময় লেগেছিল মিত্রার। বুঝে ওঠার পর মিত্রা মিত্রার মত করে ভেবে নিতে দেরী করে
নি। মিত্রার ভাবনা কার্যকর হবার পর থেকেই মিত্রা ঘ্যান ঘ্যান আরম্ভ করেছিল
সুদীপ্তর তাড়াতাড়ি ফেরার জন্য। সুদীপ্ত তাড়াতাড়ি ফিরলে কেমন সারপ্রাইজ দেবে ভেবে
রেখেছে। আশ্চর্যের কথা এই যে, সুদীপ্তও আজ সবাইকে অবাক করে
দিয়ে তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে এসেছে।
সুদীপ্ত ঘরে ঢুকে জামাকাপড় বদলাতে নিতেই মিত্রা সুদীপ্তর হাতে পাইন্যাপেল
জুসের গ্লাস ধরিয়ে বলেছে, “ওসব হবে না মশাই, আজ আমরা বেরব।“ সুদীপ্ত বলে, “হঠাৎ
পাইন্যাপেল জুস?” মিত্রা বলে, “বানিয়েছি।
কি সোজা গো! একটা আনারস থেকে কত্তটা জুস হল! বাবাও খেয়ে খুব খুশী। আমাদের বিয়েয়
পাওয়া মিক্সিটা তো ত্তোলাই ছিল এতদিন। আজ নামিয়ে বানালাম। ওবাড়ির মা, বাবাকেও দিয়ে এসেছি। সুদীপ্ত গ্লাসে চুমুক দিয়ে অম্ল মধুর রসের আস্বাদ
নিতে নিতে তরল গলায় বলে, “তা, আজকে
কোথায় যাবার প্ল্যান?” মিত্রা বলে, “ডক্টর
চৌধুরীর চেম্বারে।“ টেবিলে ঠক করে গ্লাসটা নামিয়ে রাখে
সুদীপ্ত। বলে, “মানে?” মিত্রা
সুদীপ্তকে জড়িয়ে ধরে বলে, “মানে তুমি বাবাই হতে চলেছ।“
সুদীপ্তর মনে হয় মিত্রার হাতদুটো যেন অক্টোপাসের মত আষ্টেপৃষ্ঠে
আটকে ধরেছে সুদীপ্তকে। সুদীপ্ত শ্বাস নিতে পারছে না। সুদীপ্ত চোখ বন্ধ করে। চোখ বন্ধ করে সুদীপ্ত দেখতে পায় অতলান্ত জল এক
পা এক পা করে এগিয়ে আসছে তার দিকে। আজকে সুদীপ্তর বস জানিয়েছে, সুদীপ্ত কোম্পানীর জন্য যতটা সময় দেয় তার জন্য কোম্পানী কৃতজ্ঞ, কিন্তু সুদীপ্তর এতটা সময় দেবার দরকার নেই। কোম্পানীর কাছে সুদিপ্তর দেয়
সময়ের ভাগ কমে যাওয়াতেই সুদিপ্তর তাড়াতাড়ি ফেরা। সুদীপ্ত জানে অতলান্ত জলে ডুবে
যাবার এটাই প্রথম ধাপ। কালো ভয়াল জল সুদীপ্তকে ডুবিয়ে দিতে চায় একটু একটু করে। চোখ
বন্ধ করে সুদীপ্ত শুনতে পায় বাচ্চার কান্না। গলা অবধি জলে দাঁড়িয়ে সুদীপ্ত
প্রাণপনে ছারিয়ে নেয় মিত্রার হাত। বিস্মিত মিত্রা দেখে চোখ বন্ধ করে সুদীপ্ত টলতে
টলতে হাঁটছে, হাতদুটো মাথার উপরে যতটা তোলা যায়, ততটাই তুলে। মিত্রা জানে না, সুদীপ্ত ওদের অনাগত
ভবিষ্যৎকে নিরাপদ দূরত্বে আঁকড়ে রেখে অতল কালো জলের পথ পার হচ্ছে।
1 মন্তব্যসমূহ
শান্তা, তোমার গল্পে কঠিন বাস্তবতা ফুটে উঠেছে। ভালো লাগলো লেখাটি।
উত্তরমুছুনরঞ্জনা বসু