দুটি কবিতা
হৈ রে লক্ষ্মীন্দর :
বকুলের বীথি তুমি, অনঙ্গ সরসী
ওগো মেঘ, হা মেঘ, আকুল পড়শি
হৃদি আমার নিরান্ন কৃষ্ণ ; মালসাটে
আলপনা আঁকি শূন্যের বালুতটে
গাঙুর নিধি, শূন্য জ্ঞান, শূন্য মতির
হাড় সর্বস্ব আড় বাঁশি, বেহুলা পতি
শ্বাপদের এই কল্মষ ! মাহ
ভাদরে
শ্রাবণ বৃথা গ্যাছে আকুলি, বাদরা-রে..
রাত্রি নেত্র পথগামী দিবস
পরবশ
শূন্যের গুণিতকে কুসুমের
সঙ্কাশ
স্বরে অ ছুটেছে একাকী ; কথা ক' পাখি
অ'য়ে আকার স্বরে আ, পাখি গা, সা-ধা-নি....
স্বরে দীর্ঘ-ঈ, বলি ভ্রমরী ! কীটদংশিত
কী তবে নিরাময় বলো ? এ পুষ্প ক্ষত ?
ব্রজভাব:
যুদ্ধের শেষ, উড়াই বিজয়কেতন
যথা পাশা বিভ্রমে
যুধিষ্ঠিরের পণ।
জীবন বুঝতেই বিসর্জনে শৈশব
বকলমা দাও, নাও যৌবন, ভৈরব।
আমার বলো আর কিসের অভাব
সহস্রারে রাধার যেমন গোপীভাব।
চুম্বনে গণ্ডুষ, নীল বাড়ানো অধর
রাধে রাধে, সর্বাঙ্গে বিষে সসাগর।
দীঘল ভ্রূ আলোক ছটা রেটিনায়
আহারে বালা কেহ নাই অপেক্ষায়।
ভালো থাকা যেমত রতিস্খলন
বিনা
অকৈতবে জানিয়ো,বৃষ্টি চাহ কিনা।
সরসিজে মনান্তরে জল আর মাটি
তুমিই বলো ঈশ্বরী কার দাবি
খাঁটি?
0 মন্তব্যসমূহ