জিশুর রক্তে আজ পুজো
হবে— হোমাগ্নি আগুন
হোলির পরের হোলি,
শূন্যতার বিধিনিষেধের
মাঠে মাঠে ছড়িয়েছে পোড়া
খড়, আর কিছু নুন
বাকি অর্ধে পড়ে থাকছে
পরজন্ম, আকাঙ্ক্ষার জের
বিবেক বিদ্বেষহীন,
কড়িকাঠ থেকে ঝুলছে ক্রুশ
ক্রুশ্চেভের কৃপা পেয়ে
মরে যাব, মনে মন বাঁধি
ফোরাত নদীর ঢেউয়ে স্নান
সারবে যিনি বৃদ্ধ আদি
নবনীত মেখে আজও স্নাত
হই প্রহর-পুরুষ
ইষ্টমন্ত্র জমে যায়,
ওরা কারা ছিন্নবস্ত্র কাচে
মাঠে মাঠে জ্বলে ওঠে
কালো ধান, আগুনে, ফসিলে...
জিশুরা রক্ত দেয়, যুগে
যুগে পাপীরাই বাঁচে
আলোহীন পরিসর,
জুডাস-ভেলায় তুমি ছিলে ?
অন্নাদ-পুরুষ
সে-কোন সংখ্যাঘোর
তেরো-ঘোর প্রখর আয়ুর
সে-কোন সংখ্যাবীর্য
তেরোশীর্ষ কটাক্ষের বুলি
আমরা তোমাকে নিয়ে
অবদমিতের মতো খুলি
মোড়কে মোড়কে মাখা
চন্দ্রালোক, কোটি কোটি দূর
দূরত্ব অবুঝ, তার
জ্বালাময় সন্ধ্যাটুকু নিয়ে
বাঁচিয়ে রেখেছ কালি,
যে-জঞ্জাল শ্বেতকায় দানা
এ-বর্বর দেশে আজও জন্ম
নেয় পাপীদের ছানা
জঞ্জাল পুড়িয়ে ফেলছ
ছানাদের বাহানা বানিয়ে ।
সে-কোন সংখ্যার তীর্থ,
তেরো, যাকে অহরহ ভয়
পরিষ্কার জন্মদ্বার,
পদে পদে পাগলের জয়
সে-কোন সংখ্যার তীর্থ,
চন্দ্রালোক, খুদ-কুড়ো-তুষ...
পরমান্ন বিষ হলে, ছায়া
মাখবে অন্নাদ-পুরুষ ।
লাভক্ষতি
মধ্যদুপুরের ত্রস্ত
ধরণীর বিশাল উপমা
স্মৃতিহীন পড়ে আছে
খাদের অপাচ্য কোনও দ্বারে
সংকট শিয়রে তার, ফলহীন,
আমাদের রোমা
ছেলে নিয়ে যেতে চাইছে
রাঢ় ছেড়ে অন্য কোনও রাঢ়ে
রাঢ়ের মুকুট নেই,
চিন্তা তুর্য, সূর্য থেকে পাওয়া
নিতম্বে স্বপ্নের জাল,
আয়ুহীন, পরিচয়হীন
দিনান্তে তোমার রোদ্রে
ঢাকা পড়ে উপমার হাওয়া
ষটচক্রে ঘোরে রাত্রি,
প্রতিবাতে ভেসে ওঠে দিন
শিকলে শিকল বাঁধি,
আঁধিহীন জঞ্জালের চিঠি
মধ্যদুপুরের জ্বালা
ঘুচাবে কে ? রোগ খিটিমিটি
হাওয়া নয় পান্তুয়া, পচা
পান্তা জল ঢেলে খাব
সোহাগে সোহাগে ক্ষতি,
আষ্টেপৃষ্টে বাঁধা থাকে লাভও
0 মন্তব্যসমূহ