এক
ঢের ঢের উঁচু বাড়ি পথের দু’ধারে
সংসার ওঠে নামে প্লাবন বিলাসে
তুমি কি দেখেছো তার পাশে
গোল চাঁদ বসেছিল কোনওদিন
আকুল আবেশে?
তাহাদের মেঝেয় ক্রমশ বয়স বাড়ে
শ্লথ হয়ে আসা ঠোঁট মৈথিলি মধুবনে
আরও শ্লথ সাবধানী শব্দরা, আসে যায়
সতর্ক ইশারায় ফাগুনে আগুনে।
এদিকের বাউল বাতাস নিবিড় চুম্বনে
সেধেছিল সহজিয়া সুর
একতারার পাশেই ছিল সচ্ছল সুদূর
আমাদের বাড়িঘর।
শ্রাবণ পেরিয়ে তাতে হেমন্তও
মেঘছায়া রোদে বাজিয়েছে নূপুর
গৃহস্থ অপেক্ষায় নিয়েছিল চেয়ে
নিরিবিলি রাত্রির শরীর
আগামী মাঠের কোলে নতুন ফসল,
স্তনে তার সাদা ক্ষীর
এনে দেবে কী ভীষণ নীল সুস্থির
এই ভেবে নদীও ডুবে ডুবে খেয়েছিল জল…
দুই
কথা
এখানে বসেছে সাঁঝবেলা পা ছড়িয়ে
বিছানো শীতলপাটিতে
আরও বসেছে কিছু সময়ের চারা,
তাহাদের সুঘ্রাণ—
ঘেঁষাঘেঁষি মৃদু মৃদু দুলে ওঠা
যৌথ লতা ও পাতায় শিকড়ের টান
এত কুতুহল এত আনচান
জড়োসড়ো অপেক্ষা শীত ও গ্রীষ্মের কোলে ।
কাহিনির পাড়ায় পাড়ায় ওরা গুহা বোনে
পাহাড়ে জঙ্গলে বোনে কষ্টের পথ,
দিগন্তের কোলে বুঝি অজানা শপথ
আর মেঘের শরীরে দেখে অশ্বের ডানা।
দ্রুতলয়ে সময়ের চারাগুলি ছুটে যায়
দুঃখ ও রাগ পায়, ভয় পায়
নিভে আসা চোখের কালিমা
ম্লান হয়ে আসে ছোটো হ্যারিকেনে।
ঠাকুমা পেরিয়ে যায়, পার করে নিয়ে যায়
বন্দিনী প্রকোষ্ঠের দিকে
প্রহর গুনে গুনে কোটালের ছেলেও
দূরের প্রান্তর পেরিয়ে যায় ওই।
মিটিমিটি তারাখসা রাত জেগে থাকে
জেগে থাকে আশায় আশায়।
তিন
ক্রৌঞ্চ হতে পারি
তবে তো আমিও ক্রৌঞ্চ হতে পারি
দন্ডকাল,
অপূর্ণতার স্বাদ নিতে নিতে
যদি ব্যাধ এসে মাপে তো মাপুক
স্থির চোখে ছন্দ ও মিথুনের ডাল।
শুধু একটি আর্ত রবে অদূরের আশ্রম উঠুক জেগে
আর একটি মহাপর্বের গর্ভাধানে…
0 মন্তব্যসমূহ