গুচ্ছ কবিতা
জীবাশ্ম ও শিউলি ফুলের কদম ফুল
পঞ্চম জেন্ডার অসুস্থ হওয়ার পর তার শিরদাঁড়ার জীবাশ্ম দিয়ে পাগল মহিলাটি তলপেটে চুনের প্রলেপ
পঞ্চম জেন্ডার অসুস্থ হওয়ার পর তার শিরদাঁড়ার জীবাশ্ম দিয়ে পাগল মহিলাটি তলপেটে চুনের প্রলেপ
মাখে
নারীটি কখনোই সস্তা দামের আগুনকে মুখে করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে না
তার পুঁটলির ভেতর অজস্র শিউলিপুরের শুকনো কদম ফুল থাকে ,
কদমফুল মাথার ভেতর রাখলে একটি অদৃশ্য পরকীয়া উবু হয়ে বসে থাকে আমার মৃত গরম জামার
বাদলপুরে
রোমকূপের ভেতর কেবল অবনতি কোণের মৃত সন্ন্যাসীটি বিভাজিত স্তন সমগ্র কথা রেখে যায় প্রতিটি
আঙুলের ফাঁকে , পাথরের খাঁজে একটি সংক্রমণ অসুখ জড়িয়ে জড়িয়ে ওঠে প্রবাহিত অনুচক্রিকার
মতো
চৌরাস্তায় এলে প্রতিটি মানুষ দিকভ্রান্ত হয়ে নেমে যায় প্রাচীন দেহঘরের দিকে
এখানে শুধু কালো রঙের হিমোফিলিক জীবাশ্ম আর কিছু বিরামহীন নরমাল স্যালাইনের ড্রিপ ড্রিপ আওয়াজ ,
ঈশ্বর সিলিকন আর শিফন পোশাক দিয়ে ঢেকে রাখেন রুক্মিনী শহরের তীর্থ ক্ষেত্রগুলো
পাললিক কথাগুলো কথা শুয়ে আছে অকপট দ্রাঘিমা হীন ভঙ্গিমায়
একটি বীভৎস সংক্রমণ জ্বরের পর দাঁত গুলো বিষাক্ত হয়ে যায়
একটি চতুর্মুখী ঋ আকার রাস্তার ওপর কতগুলো মানুষ সর্বহারা হয়ে যেতে পারে , মানুষের মতো
অভয়ারণ্যের গলনাঙ্ক ধারালো
চৈতন্যপুর অথবা কবচ কুণ্ডল
রাতের প্রতিটি প্রহর আগুনের মতো ঘুমিয়ে পড়লেও কোন দাহিত অসংলগ্ন থাকা নদী তলদেশের কোন
রাতের প্রতিটি প্রহর আগুনের মতো ঘুমিয়ে পড়লেও কোন দাহিত অসংলগ্ন থাকা নদী তলদেশের কোন
শ্বাপদ একাই প্রজনন ঘটিয়ে চলে
আকাশমনির পরকীয়া ফুলরেনু গুলো কখনোই সহবাস করতে জানে না ,
আমি দেখেছি প্রতিটি কালো রঙের কালপুরুষ কংক্রিটের মতো অজগরের ডান পায়ে একটি চৈতন্যপুরের
সংসার বারবার তাদের খোলস ফেলে যায়
এখন এক অভিমুখহীন বৃষ্টির প্রয়োজন আছে ,
আমি গোবিন্দপুর থেকে উড়ে আসা উলম্ব ঈশ্বরকে দেখি , যিনি বল্মিক ভঙ্গিমায় শুয়ে আছেন সমান্তরাল
শিরাবিন্যাস নিয়ে
সর্ষে দানা অথবা আমার বিভাজিত বাবার দেহ সমান্তরাল থেকেও তার অঙ্গজ জনন প্রশাখাগুলো ছড়িয়ে
থাকে কাল্পনিক শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিধারার দিকে মুখ
করে ,
কোমরে দাতব্য চিকিৎসালয়ের কবচকুণ্ডল
এখানে প্রতিটি নারী ছাপা ছাপা রঙের বাকল পরে অবৈধ পথে নেমে যায় , বস্ত্রালয় প্রতিটি ছাপা
অন্তর্বাসের খাঁজকাটা দেহমাত্র, গান্ধর্ব দশমিক
সংখ্যাগুলো খুঁজে বেড়াই লম্ব বৃত্তাকার শব্দের অসম্পৃক্ত
দ্রাব্যতায়
আমি অভিমুন্য ও সাত্যকি হতে চাইছি
তিনটি ধনাত্মক গোপন কক্ষ অথবা অন্তর্বাস
আজ বৃষ্টির নিতম্ব যুগলকে বৃত্তাকার কলম্বাস মনে হল হঠাৎ
আজ বৃষ্টির নিতম্ব যুগলকে বৃত্তাকার কলম্বাস মনে হল হঠাৎ
এক হাঁটু জলে দাঁড়িয়ে আমার নারীটি অন্তর্বাস কিনে পারদের ওজন মেপে নিচ্ছে গোপন কক্ষে দাঁড়িয়ে ,
গোপন কক্ষের তিনটি ধনাত্মক স্থানাঙ্ক কোন আছে অথচ প্রতিটি প্রাচীন ,
সেখানে অজস্র সাইনোভিয়াল ফ্লুইড পাশাপাশি রাখা আছে উদর দেশের জন্য ,
লঘু মস্তিষ্কের ঔদাস্য ভারসাম্যহীন নারীটি একাই তৈলচিত্র করে কোন জটিল ঘোড়ার, আবার এঁকে
উড়িয়ে দিচ্ছে প্রাচীন গন্তব্যের দিকে
আমি পিরামিডের নিচে দাঁড়িয়ে রক্তের ধারালো প্রবাহ থেকে হাড়ের কণাগুলো খুঁজে খুঁজে বের করি
আর প্রতিদিন ছোট সুপুরি গাছের চারা পথে চলি জলাশয়ের ধারে মৃত্যুর সাংখ্যমান হিসেবে
প্রতিটি পুরুষ একবার বৈতরণী ঘাটে এসে জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়ে মাটি মেখে নেওয়ার পর , তাদের হাতে
চৈতন্যদেবের ভৈরব পতাকাটি পতপত করে উড়তে থাকে
মোক্ষ চিহ্ন মাথায় নেওয়ার পর
আমি ক্ষর ও অক্ষর শব্দ নিয়ে আগুনের পাড়ায় গেলাম আজ
পেছনে দাঁড়িয়ে থাকা শিশুটি ক্রন্দন করে চলে মৃত মাদুর কাঠি বোঝাই একটি গম্বুজের ভেতর
যারা কালো রংয়ের তলপেট ঢেকে রাখে ভেজা গামছায় তারা একটি বিনিদ্র রঙের লেডিস পার্লার থেকে
নিজেদের চোখের উপরে থাকা অদৃশ্য পালক খসিয়ে
বাড়ি ফেরে
নেলপালিশে ১৬ টি বিবস্ত্র শহর ঢেকে রাখা যায়
সিওপিডি ডেরিফিলিন অথবা অসদবিম্ব প্রলাপ
কেউ কেউ ধাতব হয়ে যায় রাতের আয়নার পাশে এলে
কেউ কেউ ধাতব হয়ে যায় রাতের আয়নার পাশে এলে
আয়নার ভিতরে থাকা পারদের প্রলেপ ও প্রতিটি অসদ বিম্ব এগিয়ে আসছে আঁশটে গন্ধের মতো
কারো হাতে লাল চন্দনের টিপছাপ ছিল না
কেবল একটি জরুল চিহ্ন চিকচিক করে উঠেছে রাতের প্রতিটি প্রহর শেষে
আমার বাম দিকের জানালায় মরচে অসুখ আরো গাঢ় হতে হতে আমি ক্রমশ মায়ের সিওপিডি ফুল মুখে
নিয়ে চিরকাল ডেরিফিলিন খাচ্ছি মধ্যাহ্নভোজের পর
একমাত্র মনরোগ হল সন্ন্যাসীর আসল অসুখ , আর কিছু নয় তার শরীরে শুধু বেলপাতা ও অভিসারের
দাগ লেগে থাকে বাঁশ পাতার নিচে
সারা শরীরে নারীর প্রচ্ছায়া অঞ্চলগুলো হলদে রঙের দেখায় আমি তাপসের খেয়াঘাটে দাঁড়িয়ে দেখেছি
একটি নারীকে পুড়তে ৩৩ মাইক্রো সেকেন্ড সময়
লাগে , জ্যামিতির ভেতরে থাকা আততায়ী পুরুষটি
কতোদিন অকপট শুয়ে আছে
কালিদহের গোপন গহ্বরের এক মাঝি পুরুষ গোপন ইঙ্গিতে তার নৌকাটি প্রতিকূল প্রবাহে বয়ে যাবে
শূণ্যস্থানের দিকে
তার পোশাক সমযোজী মৌলের মতো দেখতে
একটি পিচ্ছিল বেডশীট অথবা ধূসর ঘোড়া
প্রতিটি কাঁটা কম্পাস আসলে আততায়ী, সন্ধ্যার উপপাদ্য রংয়ের জলে পা ডোবানো , ঠোঁটে বিষাক্ত
প্রতিটি কাঁটা কম্পাস আসলে আততায়ী, সন্ধ্যার উপপাদ্য রংয়ের জলে পা ডোবানো , ঠোঁটে বিষাক্ত
বেডসিটের পিচ্ছিল টেস্টোস্টেরন
একটি জ্যামিতি বাক্স হিউমারহীন মানুষকেই হত্যা করতে ভালোবাসে অথচ তার কাঁটা কম্পাসের দাঁড়ায়
কোন রক্তের দাগ নেই আজকাল
নিজেকেই অধাতব গ্রাফাইট করে রেখেছে আজীবন সিক্স এইচ বি ভূগোলক শুক্র গ্রহের মতো ,
আমি চন্দ্রমল্লিকার পাঁপড়ির গর্ভকেশরের অনুরণন দেখেছি মৃত্যুপুরীর ডাঁটার হলুদ কম্পাঙ্ক নিয়ে
মানুষের যোজ্যতাহীন শরীরে শীতকাল এলেই অভয়ারণ্যের ভেতর থাকা বডি অয়েলের কর্কট দাঁতগুলো
চিকচিক করে ওঠে সিম্ফোনি পাতাবাহারের মতো
আমার সারা দেহ বারুদ আর ফসফরাস দিয়ে তৈরি
আজকাল মাল্টিভিটামিন , লোরাজিপাম আর গোখরো সাপের দাঁত আমার মৌলিক উপাদান বলে মনে হয়
আমার শুক্রাশয় ঘরের জন্য
অন্ধকার ঘরে দাঁড়ালেই দেখেছি প্রতিটি ঘরের উলম্ব কোণে দাঁড়িয়ে থাকে একটি সর্বংসহা নারী
আমি তাকে বাঁশি বাজিয়ে আহ্বান করি ধূপের ভেতর , তার চোখে ঈশ্বরের ঘোড়া আর আমি একটি মৃত
মাছের পালক পরে বসে আছি আগুন ঠোঁটে নিয়ে
আমরা সকলেই অসম্পৃক্ত ঘোড়া নিয়ে শ্মশান যাত্রায় নেমেছি
0 মন্তব্যসমূহ