দুটি কবিতা
প্রত্যর্পণ
অপেক্ষাটুকু রেখে গেলাম শিকড় মাটি জলে
গাছ বড় হোক
চারদিকে ছড়িয়ে মুক্তবায়ু, বাঁধন খুলে যাক
পাখ পাখালি গাইবে অমেয় পুন্যশ্লোক।
হিরণ্ময় নীরবতা আঁকি পদ্মপলাশে,
টলটলে জলে, গোলাপ পাপড়িতে ঠোঁট। শিউলি
ফুলে আজো চোখ ছোঁয়াতে ইচ্ছে করে ভীষণ
শুকিয়ে এলো কলাপাতা,
অপূর্ণ বাসনা, ..বিবিধ এষণ।
তিলিস্মী মন ! বন্ধু তেমন নেই কেউ, শুধু যে রাস্তা
নির্ভুল সঙ্গতে বাড়ি পৌছে দেয় প্রত্যহ,
ভালোবাসি তাকে।
মুখোমুখি বসিবার নিত্যদিন প্রগাঢ় -
অচলয়াতন। জীবনের কাছে তেমন ঋণ কিছু
নেই আর বাকি যেটুকু ! শোধ দিয়ে যাব,
যে রাস্তা আরোগ্য, নির্বাণের দিকে।
ঘর
চড়ায় ঘর, গেল বার প্রবল বৃষ্টিতে নদীর জল
যখন ফুঁসছিল, বাধ্যতামূলক পরিবারের সকলেকে
আসবাবপত্র গৃহপালিত সদস্য সমভিব্যাহারে
বাসা ছেড়ে স্থানান্তরের পথে, হঠাৎ পটা একটা ঝাটা
নিয়ে বাসাটা সুন্দর করে দেয়াল মায় মেঝে ঝাট
দিয়ে নমস্কার করে বেরলে দেখলাম ওর চোখে
দুটো জবা ফুল ফুটে আছে।
যে বাসা বানভাসি হবেই তাকে হাস্যকর ভাবে
পরিচ্ছন্নের কী প্রয়োজন জিজ্ঞাসা করতেই বললো..
"আসলে এই ঘরটাই তো এতকাল
আমাদের বাবার মতোই সকলকে বেঁধে বেঁধে
রেখেছিল কিনা ! পুড়ে ছাই হয়ে যাবে জেনেও তো
বাবা কে চান করিয়ে সারা গা'য়ে ঘি মাখিয়ে
চিতায় তুলেছিলাম....."
0 মন্তব্যসমূহ