ভ্রামরি
নিজেকে নির্জন! আখরদেবের কাছে সমর্পণ! বৈরাগ্যের সারাগেহ এই সামদেহ! পিত্তল কুলুঙ্গি।
ভ্রমরের বুকে লেপা আরাত্রিকা! চন্দনের বুনোট! শূন্যতার পিঠে
ভর,প্রদীপের চাতাল। শিহরণের
শেকড়ে কে যে দ্যায় টান! নাথবতী চোখে অবাক সাধনার আকাশ! দৃষ্টিতে
বিস্মিত সাধকের ঘুড়ি!
অনুলোম-বিলোম
ওঁ
অর্জনের জন্যেই একমেব শ্বাসপ্রতিমা।
নিঃশব্দ শব্দজালে জড়িয়ে রাখা তৃষ্ণা! গানভরা কমণ্ডলু মনে করায়
শ্যামসুখ!
রক্তকরবী গোত্রের যিনি
স্থলপদ্ম, নির্দ্বিধায় তাঁর পা! স্পন্দিত সাদাস্বর সুবাতাস
ওজনহীন ভারহীন ঈশান! নেই চিন্তা! আছেন পাহারায় ললিত আর বিশাখ।
ভস্ত্রিকা
এই অবধি পৌঁছনো মুখের কথা নয়!
ত্রিসন্ধা নিখিল পাঠ না করলে, ছাত্র হওয়া যায় না অখিল পাঠশালার।
গাছপাতা বনফুল মনগোলাপ পেরিয়ে দিশাবিন্দুর দুই দিকেই জাগ্রত
গুরুধ্যান। যোগায় আশ্বাস। গোলার্ধের কোথাও হচ্ছে রান্না রাজ
পরম বীজমন্ত্র। নিঃশব্দে টানছে চুম্বক, সচ্চিদানন্দ।
চন্দ্রবেদী
পিঙ্গলায় প্রতিভাত বারাণসী। আগাছামুক্ত ঈরাগুচ্ছ।
নিজেকে নিড়ানি, রেবতীর তীর্থঝালর দুই কলি।
যা কিছু গ্রহণ, যতোবার দৃশ্যবট। ছায়াপথের মুকুরে ফেরত সব।
মহাকাশ্যপ সুখ। সারাবেলা আসা যাওয়া বিমূর্ত শাপলা-শালুক।
হোক পাঠ পরিণাম খচিত অতল তথাগত!
একার প্রান্তরে ক্রমশ উজ্জ্বল অন্তঃসলিল আবাদশঙ্খ।
উজাই
পঞ্চম জন অমৃতকুম্ভ। সুতনু দ্বারকা।
প্রাচীনতম ছন্দে ডুব ডুব ডুব রাখালিয়া!
নাভিকেন্দ্রটি রথের পথিক এবং পথ। ইচ্ছেদানা,এইচাই সেইচাই, ঘুচুক।
ধ্রুবালোকের সঙ্গে আলাপ হোক বিস্তীর্ণ। অপরূপা আলোকিয়া অলাতচক্র!
দেবদূতের অন্তঃপুর! ভরপুর দেব দ্বিজ ঈশ্বর ফকির।
কপালভাতি
শ্রমণের শোণিত।বইছে
ধ্যানকিংশুক। আলোমৃদু চাঁদ এক ঝাঁক সুখাসন।
পূর্ণঅঙ্ক জ্যোতিষ্ক যেন ফুটেছে গৈরিক। প্রতিশ্বাস চারমাত্রা!
নিঃশ্বাস কণিকা।
পলাশের রাগজ্যোতি কেদারবদ্রির এই স্তর গর্ভকোষ বসুধার।
স্মৃতি প্রেম কান্নাবোধের অতীত এই আহ্নিক পালন দিবস যামিনীর।
1 মন্তব্যসমূহ
খুব ভালো লাগল।
উত্তরমুছুন