দুটি কবিতা
আয়না
আয়নায় আমাকে রেখে বেরিয়ে পড়ি প্রতিদিন
দেখে নিই যা যা নিয়ে যাচ্ছি
গতকালও এইসব ছিল
নির্ঘুম চোখ অস্পষ্ট বলিরেখা বিরল কেশের হিসেব
শ্রবণ দৃষ্টির স্বাচ্ছন্দ্য আঙুলের ভাঁজ তীক্ষ্ণ নখর
পায়ে পায়ে সপ্রতিভ চলাচল
পোশাকের রঙও অটুট ছিল
দিনান্তে ফিরে আসি আয়নার কাছে
একে একে মিলিয়ে নিই সঞ্চয় ও ব্যয়নির্বাহ
নিভে গেছে কিনা রঙবেরঙের রামধনু
নিঃশ্বাস মিলিয়ে নিই অম্লজান লাঘবের তালিকা
বিশ্বাসে কোথাও হেরফের হল নাকি
প্রশস্তি ও কটু আবেগী মোহনার চন্দ্রপ্রভা
এ চোখে জ্যোৎস্নালোক নেই
শ্রবণের ফিসফাস রযে গেছে কোথাও টুকিটাকি
বোধগম্য ছিল না ষড়যন্ত্রীর আণবিক
কিছুটা জমার ঘরে বাতিল ঘোটকের দ্রুতলয়
আগুনের উষ্ণ অবকাশ ইত্যাদি
আয়না ফেরায় না আমাকে
চুলচেরা রাখে বাম ও ডানদিকের প্রকৃত পাঁজর
ত্বকে ত্বকে ভালবেসে নিই খুব
তারপর হেসে উঠি খলখল
বিন তুঘলকের বাদশাহী বদখেয়ালে
নর্তকী
দুর্বিচারে মিথুন কৌশল ফুটে ওঠে
একটা জঘন্য অনাচার
হাজার বিস্তৃতির সামাজিক সঙ্ঘারামে
আঙুলে টসকায় জ্যোৎস্নাগন্ধ তার
ছড়িয়ে পড়ে রাত্রির জরিফিতে
গুটিপোকার আর্তনাদে বসন্ত ঝরে যায়
সেই শীত আসবে বলে তুলোর মনোরম
পাপবোধ শুয়ে থাকে প্রত্যঙ্গের বেহিসেবে
ছলা কলা কৌশল জানে তার হারেম
প্রমোদকুঠুরীতে এক এক নর্তকী নেচে যায়
অভিমান রেখে আসে পোড়া শরীরে
যেখানে দগ্ধ হয় রমণ কুচি কুচি ওড়ে ছাই
--------------------------------------
ছবি ঋণ: গুগল
0 মন্তব্যসমূহ