চতুর দশপদী
২৯
ফসিল থেকেই উঠে আসবে আবার
ডাইনোসর ও তার গোষ্ঠী, তৃণভোজী,
মাংসাশী, পাতা চিবোতে চিবোতে, রক্ত
চুষতে চুষতে, যারা চিরঘুমে বন্দি।
কয়লার মোহ থেকে মুক্ত হয়ে যাবে
গাছ, কোলাকুলি সেরে দাঁড়িয়ে থাকারা
ওদের বসাবে কংক্রিট ফেঁড়ে মাটি
খুঁজে নিয়ে। ওহো, কী দিন আসবে ওগো!
তুষারে তুষার, স্তর ভেঙে কেউ পাবে
বারো বছর আগের জ্যান্ত চোখ-দুটি।
৩০
কলার-টা দ্যাখা যাচ্ছে স্মৃতির জামার,
কালার-টা জামা থেকে ছিটকে আসছে।
এত রং! আর রং থেকে এত সুর!
এ-খেলা খেলব না আমি, দেখব স্বপ্ন।
ভয়, যদি সেখানেও মা-বাবার মৃত্যু
চেকপোস্ট পার হয়ে শ্মশান দেখায়!
ঘুমস্বপ্নে কেন শুধু অতীত? জাগর
স্বপ্নে এত আগামীর ফাটাফাটি, আহা!
চা-সকালে— এক ছিল রানী, বেমানান।
শুরু হোক— এক নীলিমা থাকবে নীলে…
২৮-০৭-২০২০।
৩১
বেনামি চিঠিরা মিছিলে সামিল, যুদ্ধ।
কামানের ফোস্কা ফেটে বারুদ ভিজেছে।
আকাশের নীল— মহড়ায় মশগুল।
কাশ-মেঘ সাদা পতাকা ওড়ায়, কারা
উচ্চারণ করে ওম্-শান্তি ওম্-শান্তি? তারা
বুঝি দেখেনি এখনো পশ্চিমের রাগ?
জবা ফুটে আছে মিশাইলের ডগায়!
পুবে বর্ষাভেজা কালো হাতিরা ছুটছে।
কদমের ডালে বাঁশি নয়, বাজে শঙ্খ।
যুদ্ধ হাঁটে, যুদ্ধ নাচে, লাস্যে ফেটে পড়ে।
২৯-০৭-২০২০
0 মন্তব্যসমূহ