পঙক্তিমধ্য নৈঃশব্দ --২
যেটুকু বলেছো রাগে,
'অভিমান', প্রিয়জন নাম রেখেছে আতুড়ে
শুনেছি সেখানে আছে
সমুদ্রের নিষিদ্ধ পুলিশি রাত, বাতাসে জোনাকি ঘ্রাণ
ধুয়ে দেয় ব্যবহৃত সৈকতের সব অনাদর
প্রিয়তম মানুষের অপ্রিয় সব আহ্লাদ।
আমাকে তবে আসতে হবে খুব ভোরে
স্বচ্ছ এক ভূর্জপত্র সৈকতে
লেখা ফুটবে রেতে আর লাল কাকড়ার ঘরে
তুমি হাতেখড়ি-পূর্বরাত, লেখা ছিল একলা থাকার অনুরোধ ।
এবার আমাকে ভাবতে দাও
শেষকথায় যতটুকু জমেছে চুপ,
গভীর রাতে হাঁটার ইচ্ছা হয়ে, ভার,
কতটা ভিজেছো, কেমন অঙ্কুর ...ওম কতখানি ?
কত নৌকা গতরাতে সমুদ্রে গিয়েছে
মাছসহ ফিরেছে ভোর মেখে গায়ে ।
অনেক কথা কাঁপছে এখন ঠেলে তোলা নৌকা আর জালে
বটি নিয়ে সারি সারি, মাছ কাটবে ওরা ধুয়ে
চলো আমরা একটু দূরে, প্রেমে ছুটি নিয়ে শুনি
অভিমান লেখা পাথর সহসা কেন বালি ঝুর
বাতাস আর ঢেউয়ে ওথলায় নতুন রাত শরীরী ।
শব্দ
কুকারে সিটি গুণে শেষ করার আগেই,
দেওয়ালে দুলছে রেলের সময়
টিফিন বাটিতে কিছু সময় মুড়ে দিলে
রাতের খাবার, নতুন জামা, বেজে ওঠে হুইশেলে
কোলে কোলে আজকের কাগজ বিনিময়
লোকালে, পাতায়, যুদ্ধ ঢুলছে খটাখট,
ঘটাখট।
মা ও দুই বোনের সেলাই মেশিন সারাদিন
শুধু নিষেকে সক্ষম পুরুষটা বাঁচলে
সম্বন্ধীদের বাবা-প্রশ্ন নুনমুখো
সেভাবেই শেষ রাতে ওদের গর্ভের সন্তান পুরুষ হয়ে উঠবে।
ডাক্তারের কথা মতো পাক্কা চল্লিশ মিনিট হেঁটে এসে
রেলগাড়ি শেষ স্টেশনে ঠুসে দেয়
গ্রামীন লালাভ অক্সিজেন,
তখন বাড়িতে প্রজন্মের চোখ ধোয়া, বইয়ের পাতায় দুলছে।
তর্পনের সকালে ভরাঘাট গঙ্গা ক্যামেরা অথবা মন্ত্র ,
দুটোই বহু ব্যবহৃত, অথচ শব্দ জানায় গল্প--
পিতামহরা মিশে আছেন মাতামহীদের আড়ে ।
এখন আমি বেঁচে থাকার গল্পে তোমাকে লিখব খসখস
কেননা, টিকে থাকা পাঠক্রম শেষ
পদ্য লিখব ,গদ্যের খাতায় সে সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে
যদিও জানালায় মারী আক্রান্ত পৃথিবী, তেলাকচু পাকা ফল
আর পাঠশালায় প্রসন্ন পণ্ডিত নুন
বেচা বিড়বিড় কষছেন।