ধুলিখেলা
১।
মাংসের ভেতরে এক মাতৃসঙ্কোচ ভরে দিয়েছো তুমি
রুদ্ধ পিতৃমাংসের ইচ্ছা থেকে বারবার অলৌকিক রঙ হয়ে গড়িয়ে পড়ছি আমি
স্থলপদ্মের মত নরম আলোয় রঙ জমছে
রঙের অধ্যাত্মবিন্দুতে বসে আছে একটি পাখি
আরেকটি পাখির আনুগত্য থেকে আমি তৃষ্ণারস তুলে নিচ্ছি তোমার ঠোঁটে
২।
আঙুলের প্রতিরূপে অন্ধ এক কৃষ্ণসার হরিণের লাফ থেকে
অনুভূতিহীন ঈশাবাস্য নখ আস্তে আস্তে চিরে ফেলছে মাংসের অন্ধত্ব
মাংসের রস থেকে নেমে আসা আলোর ছাপ
তুলে নিচ্ছে তোমার-আমার উৎসমুখ
গহন নগ্নতার তীব্র প্রতিসরণ
৩।
দৃশ্য থেকে ধাক্কা মেরে সরিয়ে দিচ্ছে মাংসের কল্পনা
এক প্রাকৃত শব্দের নোনতা-মিষ্টি জলের মিশ্রণ
আমাদের হালকা করে দিচ্ছে
অনুপস্থিত একটি ছায়াতরঙ্গের মৃত্যুকে পেছনে ফেলে
তীব্র কেঁপে উঠছে আমাদের প্রেমের রিখটার স্কেল
৪।
আগ্নেয়শিলার কান্নায় লিখে রাখা আশ্রয় থেকে
আমাদের ঘুমিয়ে পড়া গল্পের প্রসবনালী পর্যন্ত
আমি পান করেই চলেছি অলখ আলো
এবার এই মহাজিজ্ঞাসার রেসিপি বদলাও
তিনভাগ অমৃতে ছিটিয়ে দাও মন্ত্রপুত জল
৫।
জলের ভিতরে অতল এক দূরত্ব বদলে যায়
ঐশ্বরিক মাছ ও ঝিনুকের হাঁ থেকে
আমি তোমার তন্দ্রায় চাপা দিই
অনন্ত ঈশ্বরের ভ্রূণকাল
আমাদের গভীরে, অনেক
অনেক দূরে, জেগে ওঠে শঙ্খধ্বনি