দুটি কবিতা
পুনশ্চ বিশল্যকরণী
অন্তত একটা মিস্ড কল্ দিতে
পারতে ? আর আমি সেই
মুহূর্তে সূর্যের কাছে একটি আবেদন রাখতাম ; মহাফেজখানার মতো এক গুপ্ত
-গহ্বর থেকে ; দৃশ্যকাব্যের নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়া দিনগুলি
যাতে ফিরে পাই । কারণ, সেই শূন্যলীন সংলাপ , দৃষ্টিপাত, আঙ্গিক অভিব্যক্তি এটসেটেরা এটসেটেরার
ভিতর আমি হিরণ্যপ্রভ এক বিশল্যকরণী দেখেছিলাম ।
আমার সেই
গূঢ়দর্শন তথাকথিত ঈশ্বরের চৌদ্দপুরুষও দেখেননি ।
একটাই ব্যর্থ
আহ্বান ; যদি
এই স্ক্রিনেই ফুটে উঠতো ! বঙ্কিম -রক্তিম একটি তীর চিহ্ন শুধু ! তুমি তো জানোই
অনেকের ফোনেই এখন অপরিমিত কথোপকথন উপলব্ধ ; তবু ধ্যানমগ্ন
হয়ে আছো দীর্ঘসময় ।
শুধু একবার
একটু কেঁপে উঠুক মাটি ! তখন
দেখবে ধ্যানের দেবতাও ফুড়ুৎ ...।
আলোকচিত্রকথা
কেন এমন অবাধ্য তুই মেয়ে, বাদল দিনের প্রথম কদম ফুল ।
এমন অবাধ্য
কেন তুই , প্রাণপাখি তোর এখন আমার হাতে ।
অবাধ্য এমন
কেন তুই , তোর জন্য আমার হাতে শাদা ও কালো
রং ।
এমন কেন
অবাধ্য তুই , তোর
জন্য বাক্ -প্রতিমা খুঁজছি এখন আকাশপাতাল ।
অবাধ্য কেন
এমন তুই, আমার প্রতিটি বর্ণে তোর লোমকূপ ,
অগণন নক্ষত্রের মতো কেশরাশি , আটাশটি দাঁত,
ভুঁরুযুগল , কটাক্ষপাত, বর্ণময়
নখরঞ্জনী , এমনকি... থাক ... ওসব ফাজলামি ।
ছবি ! ছবি তো আমি রোজই আঁকি , ছিঁড়ে
ফেলি । পূর্বজ কবিই আমার পথিকৃৎ ।
ওরে অবাধ্য
মেয়ে, বিশ্বখ্যাত হ্যাকারের মতোই আমার
হাতে ক্লোন করার সমস্ত সরঞ্জাম ।
এই দেখ , আমার সর্বাঙ্গজুড়ে তোকে ; থুড়ি
তোমাকে ধারণ করেছি আমি ট্যাটুর মাধ্যমে ; ম্যাক্স থেকে ন্যানোর নানা সংস্করণ, আলেখ্য । এমনকি
এই জিভেও ।
চিরপ্রশান্ত বাগচী