সিদ্ধা-ডাকিনী
১
ক্রমে ক্রমে নিভে
আসে পথ। হে তুমি অপার হয়ে এসো এই করতলে, এসো পত্রে-পুষ্পে-ধন-ধান্যে জেড ব্ল্যাক ঢেউ হয়ে এসো
জোয়ারের দিনে প্রবল রভসে। আমি তো বর্ষা-প্রকল্পের দিনে টেনে নামিয়েছি সেই নুব্জ উটের শিরদাঁড়া। অতীন্দ্রিয় চুল্লির আঁচে খুলে
ধরেছি আমার এ রক্ত-প্রবাল,
মোম রঙে লেখা ক্যানভাস। চেরি-ব্লসমের এই পথ জুড়ে
টাঙিয়ে দিয়েছি এক মুক্ত-বাজার। খয়েরি মেঘের কাছে কিছু কিছু ধার-বাকি আমারও তো পড়ে আছে, আছে সেই গোপন কোটরে
রাখা শিলীভূত চেরাজিভ, বজ্রের দাগ
২
পাথরের ঘোড়া, তাহার কেশর
দেখে মরি মরি কী
নশ্বর
গতির ভাবনাখানি
বিছিয়ে রেখেছি
এই হাওয়া জুড়ে আলো
জুড়ে
কুবাতাস বদরক্ত
শ্লেষ্মা ও বমি
কেলাসিত বজ্র-বিপণী, ছায়াপথ
নভোলোকে কী বিচিত্র
তারার বধ্যভূমি
সেইখানে কালাজাদু, তেলেসমাতি
ভুডুজম পরিদের
নশিলা চিঙ্গারি
এভাবেই ফুল ও ফলের
কথা
জরা ও জন্মের এই
পুরাতন
ধারাবিবরণী খুলে
রেখে এসো
সিদ্ধা-ডাকিনী হয়ে
আজ
নিজেই নিজের রক্ত
চুষে খাও
৩
তারপর পুতুলেরা
হেঁটে যায়, নতমুখ, লালা ঝরে। রক্ত যুদ্ধ মারি ও ধ্বংসের পর তারা
সব পিঁপড়ের সারি যেন রসদ জমিয়ে রাখে হাতব্যাগে, শিথিল মাটির
নিচে ব্যক্তিগত ক্ষুদ্র-সঞ্চয়-প্রকল্প। সমুদ্র-ভ্রমণের দাগ তাদের
ডানায়। যেন কত কত ধাতুস্রাব পার করে তারা সব দাঁড়িয়েছে, যেন ঝড়ে ওড়া ফ্ল্যাগ,
সামান্য পতাকা কিছু দুপুরবেলার মাঝে ঢুকে পড়ে হাঁক দিয়ে যায়,
শিল কাটাবে গো