ছিটকাপড়ের দুনিয়াদারি জীবনে
সেলাই করতে করতে
ক্রমশ বাড়তে থাকে তার
উড়ানপ্রতিভা
রাত্রিচর সুতোদের জটিল গিঁটে
পাক খায় হো হো বেশ্যাপাড়ার গলি
তালা ও চাবিদের জিন, বিপত্তারিণীর
মানত, কাঁথাস্টিচের মায়ারঙ
সে বোঝে ছিটকাপড়ের গর্ভে
লুকোনো কলমকারির
সঠিক অনুবাদ একমাত্র জানে
মেয়েপাখিদের সিলেবাস
তাদের সতর্ক পালক সযত্নে
ঢেকে রেখেছে সন্ত্রাসের প্রজাপতি
তারা ভালোবাসে স্বপ্নের বদলে
বেহিসেবি নষ্ট ছুঁচের আক্রমণ
ভালোবাসে শীতার্ত পেট্রোলের
সঙ্গে গ্রহানুদের দেশলাই সংলাপ
তাদের সাহসী শিকড়ের এইসব
ছলকানো রক্তদাগ
জুড়ে জুড়ে তৈরি বাউল
আলখাল্লা গায়ে চাপিয়ে
সে ভাবে, ‘কতো
না অসংখ্য জীবন বোনা থাকে
আমাদের ছিটকাপড়ের ক্রোমোজমে’...
(দুই )
সেইসব
ঘোড়ারা
স্বপ্নতাঁতে আগাছা বুনতে
বুনতে ভরে ওঠে আস্তাবল
সে জানে, এ
শহরে প্রকৃত ঘোড়ারা থাকে না এখন
রাক্ষসীবেলার জানলা ভেঙে ঘাম, বীর্য
ও হ্রেষার গন্ধ
আজকাল ছিটকে পড়ে না খরস্রোত
ঘড়িদের উচ্চারণে
শুধু সপ্তর্ষিমণ্ডল পেরোতে
পেরোতে নালের আওয়াজে
মেয়েপাখিদের অর্গাজমে ফেটে
যায় বিবাহসিন্দুক
ছুটন্ত কেশরের পাসওয়ার্ড
সেলাই করে সংসারী হাইওয়ে
সে বোঝে শূককীট, মূককীট, পিউপার
টিফিনবাক্সে
লুকিয়ে থেকে বাঁচতে পারে না
স্টেমসেলের পিকনিক
তাই সেইসব ঘোড়াদের আগুনটায়ার
ও শ্বাসকষ্টের স্টিয়ারিং
দেওয়ালের স্পর্শ ভাঙতে ভাঙতে
ক্রমশ এগিয়ে চলেছে