দুটি কবিতা
এক
পথ চাওয়াতেই আনন্দ
ঘামের লবণ জলে স্নান করতে করতে পেরিয়ে এলাম চন্ডীতলা
আর বুড়ো বটতলা
মানুষেরা গল্প করছে আর সেই
আড্ডার গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে
রাস্তায়
এখানে লুঙ্গি ধূতির বিতর্ক নেই
পুকুরের একধারে কাপড় তুলে
জল ত্যাগ করছে রমণী
আর কিছু দূরে একটি মেয়ে কুকুর
ঘিরে আরো কয়েকটা পুরুষ
পুরুষত্ব ফলাতে ব্যস্ত
ফলাহার শেষে পেপে পাতা চিবুচ্ছে শাখামৃগেরা
শরৎকাল এসে গেছে বলে তুমিও খানিক খড়গুঁজে দাঁড়িয়ে
আটচালায়
চালাঘরের পাশে গোবরের স্তূপ
দেয়াল চিত্রে তরুণ এর কাঁধে
আদিম অস্ত্র
হরিণ নিশ্চিন্ত বসে পদমূলে
কোথাও যেন কোনো হিংসা নেই
একটা দৃশ্য থেকে আরেকটা দৃশ্যতে সে তৈরি করে ফেলল
একটা সেতু
আমাদের রোগা না হয়ে আর উপায় নেই
দুই
নির্জনতা
কোয়া বিরানী সি বিরানী হ্যায়
দশ্ তক দেখ্কে ঘর ইয়াদ আয়া।
গালিব
নির্জনতা একটি ভীষণ প্রিয়
নাম
এই যে একলা নদী
আমার পাশে শুয়ে
পুরনো বাড়ির কথা
সুরে বাঁধে
আমি সেই ক্যাসেটের গায়ে
এইচ এম ভি পড়ি
টেপ খুলে যায়
দূরে এক নেড়ি কুত্তা
ভৌ শব্দে
পাড়ে জোয়ার আনে
দেবাশিস মুখোপাধ্যায়