গুচ্ছ কবিতা
(এক)
একটি ঘরোয়া ভ্রমণ কাহিনী
পেলিং -এর
পথে এত ঢেউ
আসে,
পেস্তা রঙ উল
আর উলের মহিমা
গ্লো সাইন ভেসে যায়!
পেলিং -এর
পথে এত উত্তরণ,
মা ও শাশুড়ি,
কাঁধ বদলে বদলে
কাঁধের বানান মুছে গেল!
আমাদের পর্যটন নিত্যশৃঙ্গ
নিত্যই রন্ধন,
উনুন খুঁচিয়ে তুলে
নিজেরাই বেড়ে নিই ছাই!
লাইব্রেরি ট্রিওলেট
লাইব্রেরি আজ দেখছি বড়ই
চুপ
পাঠক দুপুর উপুড় করেছে
মন
পাতায় পাতায় নিউরন উঁকিঝুঁকি
হাজিরা খাতায় গান জমে
জমে স্তূপ।
কোথায় যামিনী কোথায় কামিনী
তারা?
এ বুঝি নিরেট আখরবধির
পাড়া
পাঠ যেতে চায় বঁধূয়া
যেথায় থাকে
মলাটে অধর এঁকে গেল
কে মধুপ?
ভালোবাসো
ভালোবাসো,
শমীবৃক্ষের গায়ে এইমাত্র বেঁধে এসেছি অস্ত্র
ভালোবাসো, পোখরান পরীক্ষার জন্যে উত্তরার গর্ভই চূড়ান্ত হল,
ভালোবাসো,
অভিমন্যুও এখানে শুয়েই শিখেছিল ব্যূহভেদ
ভালোবাসো,
আঃ ভালোবাসতেও একটু আধটু বিস্ফোরক লাগে!
ভালোবাসো,
জেলের দেওয়াল জুড়ে মেয়েটা কীসব হিজিবিজি লিখেছে
ভালোবাসো, ডায়েরির শেষ কটা পাতা কে বা কারা ছিঁড়ে নিয়েছে
ভালোবাসো,
কে? রাত্রি? কখন? তৃতীয় প্রহর? কাদের?
ভালোবাসো,
হ্যাঁ তোমার বোনকে ওরাই জ্যোৎস্নার প্রান্তরে নিয়ে গেছে
ভালোবাসো,
ওই তো ওই গালটা, দেরি করোনা, বাড়িয়ে দাও
ভালোবাসো,
আঃ প্রশ্ন করো না, জানলা খুলো না, প্রশ্ন •••
ভালোবাসো,
আঃ হিংসা করো না, জিভ ছিঁড়ে নেব,
ভালোবাসো!
(চার)
(চার)
ঘন্টা বাজে
ঘন্টা বাজে, দ্বিপ্রহরে
ছুটি
শূন্য হোক, পূর্ণ হোক,
তবু এই মুঠি
খুলে দেখো
প্রেম, হে নীলকান্ত,
দক্ষিণাস্য থেকো।
গোপন দেওয়ালে ভেবো
বসুধারা ঝরে
মৃত্যুঘর থেকে জন্মঘরে।
তৃষ্ণা বসাক