দুটি কবিতা
১
ঘরের ভেতরে
রোজ এক একটা নতুন দরজা খুলছি
বেরিয়ে আসছে অচেনা সব নদী, পাহাড়, সমুদ্র।
কত যে ঘর এখনো আবিষ্কার করা হয়নি,
এসব নিয়ে সত্যি কি ভাবার কোনো প্রয়োজন আছে?
হয়তো কেউ চিরদিন বন্ধই থেকে গেলো,
কেউ সামনে এসে খুলে দিলো হাট,
কারো বা সকালে আটকে গেছে কপাট।
তুমিটাও এখন বদলে যাচ্ছে প্রায়ই,
আগে যে অক্ষর ছিলো এখন সেটা বর্নহীন,
যে ছবির বুকে ঝর্ণা ছিলো এখন সেটা শান্ত নদী।
কচ্ছপের দ্বীপান্তরেও সমুদ্র জেগে ওঠে না
মাছেরা হারিয়ে গেলেও জলের গভীরতা হ্রাস পায় না,
চরিত্র হারিয়ে গেলেও গল্পের শেষ হওয়ার কোনো লক্ষন নেই।
লিখতে লিখতে বেড়ে চলেছে অধ্যায়,
রোজ নতুন নতুন শব্দের মুখোমুখি,
খোলা দরজারা বন্ধ হচ্ছে এক এক করে।
২
সীমাবদ্ধ
সীমাবদ্ধ জল ও বাতাসের মাঝখানে আমাদের আরও সীমিত জীবন বারংবার
নিয়ম লঙ্ঘনের দায়ে অভিযুক্ত হয়ে পড়ে। যেখানে যেভাবে পা রাখা হোক না কেন হিসেব ছাড়া
এগিয়ে চলার রাস্তা মেলে না। বুকের ভেতর যে ধুকপুকানি রয়েছে তাও কখনো হিসেবের বাইরে
এসে জানিয়ে যায় না বেঁচে থাকার সুলভ সমাচার। চারদিকে আবার না দেখা, না জানা
বাঁধনগুলো ঘুরতে ঘুরতে এগিয়ে আসে। উপভোগের চাহিদা নিমেষে উধাও হয়ে তীব্র আক্রোশ
নেমে আসে, ঘুমিয়ে পড়ে বাইরে যাওয়ার আনন্দ। স্তব্ধ হয় ছুটে চলা পথ আর পেরিয়ে যাওয়ার
উচ্ছ্বাস। পালানো ছাড়া আর কোনো সারমর্ম এখন খুঁজে পাওয়া মুশকিল।
সীমাবদ্ধ শ্বাস-প্রশ্বাস সামলে একবার স্রোতে নামতে পারলে সব
নিয়ম তুচ্ছ হয়ে মিশে যাবে বুড়ো বটের ঝুরিতে।
0 মন্তব্যসমূহ