-১
বৈশাখের নিভু নিভু বিকেল থেকে পদধ্বনি শোনা যায় কালবৈশাখী
আক্রান্ত আনাস্থেসিয়ার, শিরদাঁড়ার মাঝে
গেঁথে যাচ্ছে যে ইঞ্জেকশন সে জানে না কতোটা গভীরে আতঙ্ক জমেছে উচ্চ রক্তচাপে,
অথচ যন্ত্রে ধরা পড়ছে না, এমনই নির্জন
ভেতরকার জমা কবিতা ও সংলাপ, যেন অপেক্ষা জমিয়ে গড়ে ওঠা
প্রেমের থেকেও সাদা, ঘুমের মধ্যে দেখা যায় দীর্ঘ ছায়া,
ভয়ের না, স্নেহের ছাপ থেকে যায় চৌকাঠে
০
বেঁচে থাকাই তো রহস্য কিংবা দুর্ঘটনার পরেও জীবিত দৃশ্যগুলো
ক্রমশ পেঁচিয়ে যাচ্ছে ৩:৪ অনুপাতের ফ্রন্ট ক্যামেরায়,
ধরা যাক পঞ্চাশ টাকা কেজি দরে যে আলো সারা বাড়িকে আগলে রেখেছে তার
পরনে মাকড়সার ফাঁদ ব্যতীত কোনও মোলায়েম তরতাজা বস্ত্র নেই, কেউ কেউ লাফিয়ে বেরিয়ে আসতে চায় জল থেকে জাল থেকে, কিন্তু জালের মাছ থেকে যায় পেটে, স্থানান্তর,
উ ধ্বনির গ্রাস ডেকে আনে মহা বিপদ, কিন্তু
মানুষ টের পায় না, সমুদ্র উপকূলবর্তী হাতি ঠিক জেনে নেয়
আগাম দুর্যোগের ফ্রিকোয়েন্সি
১
তেলের ওপর একফোঁটা জল ঢালা হল আর ব্ল্যাকবোর্ডে লেখা হল
নিম্নমুখী ঝড়ের প্রাদুর্ভাব এর নতি মরীচিকা পর্যন্ত বিস্তৃত,
জানা গেল পাতার খাঁজে লুকিয়ে থাকা বাইশে শ্রাবণের কান্না কখনও ঢলে
পড়তে চায় ঠোঁটের গারদে, যেন একেকটি কথার হাসপাতাল পেরিয়ে
হাইওয়ে কিংবা তাঁবুর ভেতর যাযাবর জীবন অনায়াসে টিকে আছে, যে
কয়টি উল্কা খসে পড়ছে তাদের কি কোনও গন্তব্য আছে, কেউ বলতে
পারে না, আকাশের বিপরীতে ধূসর বর্ণের পাটীগণিত চড়া দামে
রাক্ষস ফুল কিনছে কি না, তবে ঠোঁট ও আকাশের মাঝের সংযোগ ধরা
পড়ে সিটিস্ক্যানের প্লেটে
উৎপল দাস
0 মন্তব্যসমূহ