এই প্রকৃতি এই মূর্ছনা
সুর ছড়িয়ে
যায় মাধবী-ধুম্রের অঙ্গ সাজিয়ে... বুক খালি হয়ে,, নির্জন দুপুরের মতো হু-হু করে ওঠে...
সেই প্রান্তরে ঝুরো ফাগ বিষণ্ণতা বিনোদনে সঙ্গত করে... শূন্যতার অন্তরে ও কোন
স্পর্শের ডাক... কাতর জন্মের ভিতর কত বিজ্ঞাপন বিরতি জানা নেই... যেমন জানা নেই –
কত পদ্মকোরক দৃষ্টি বিনিময়ে কেঁপে ওঠে হাত-পা-স্নায়ু, হাঁকুপাকু করে প্রাণ মন... অনুক্ত প্রশ্রয়ে
কাহারা ছুঁড়ে মারে রুদ্রপলাশ, বর্ণসমাগম সেও এক প্রশ্ন বটে... শুধু জানি, কোনও এক স্থির রাতে
বাতাস ঝড় হয় তীব্র ঘূর্ণিতে ... আগুনকে আমন্ত্রণ করা হয় নেচে উঠতে সমস্ত অধিত্যকা
জুড়ে... এই জ্বর, এই ব্যথা ভাব ছড়িয়ে যেতে থাকে রুধিরে, শরীরে... টোড়ি ও দগ্ধানল সিঁদ দেয় আমোদিনীর
নিদ্রাপ্রহর... গুপ্ত মোহনবাঁশির হরষ ঠোটে আটকে, সেই রাখালরাজা আগ সংযোগ করে নগরদিগন্তে... তাতেই
তো নৃত্যবাহী হয় একতারা ও নুপূরের খরতাপ, আতপ আকাশ চুরমার হয়ে ছড়িয়ে পড়ে ঘরেঘরে... দহনের অতিরিক্ত
তাপ নিরিবিলি হলে, প্রায়ান্ধও দেখতে পায়, অলৌকিক ছাদের উপর দিয়ে ভাসমান হয়েছে চন্দ্রহংসী ... তার
সন্তরণ আলো খেলে মায়াজ্যোৎস্নার দুষ্টু জলে... আমাদের চোখে অকারণ ঘোর মাখামাখি হয়, বসন্ত বিলাসে...
0 মন্তব্যসমূহ