দুটি কবিতা
হিরণ্ময় চন্দ্রপাত
নিজেকে বন্ধকী সোনা মনে হয়
বাঁধা পড়ে আছি দুর্বল স্নায়ুর সর্পে।
হিরণ্ময় স্বপ্নের গায়ে ঝরে পড়ে
আশ্চর্য এক চন্দ্রপাত।
শুধু আহির ভৈরব জানে,
জানে ভোর—
জানে এই আনখশির অস্থিরতা।
চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়ে অস্তিত্বের সংকট,
ধার—বাকি—ধার—বাকি—
এই অবশিষ্ট জীবন।
প্রেম শব্দে নষ্ট হয়ে যাই—
বাতিল হয়ে যায় পীনোন্নত স্তন,
রতিময় জঙ্ঘাদেশ।
একদিন পুষ্প ছিল বনে,
আরো কিছু ছিল...
আজ দেখি
'প্রভু' শব্দ গরল ছুঁয়েছে,
ঋণ এসে বাসা বাঁধে মনে।
কীভাবে শুধবো বলো—
তোমার এ প্রেমসুধামধুবিন্দু?
চাঁদজলে ধুয়ে
দিই
গাছেদের দুঃখ হলে
পত্রশীর্ষ থেকে অশ্রুবিন্দু ঝরে পড়ে।
বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো
এই দুঃখ -এ
কী স্বপ্ন? পাখিদের বর্ণমালা?
গোপন সন্ধ্যা -বিলাপ?
যে অঙ্গরাগে তরুলতারা অভিমান লিখে রাখে!
গাছেদের ডিপ্রেশন হলে
মেঘের সাবানে কাচা
ধবধবে ফর্সা আকাশ -মিনারে
স্বাতীতারা আঁচল বিছায়-
তখন বিষাদ পাশে এসে বসে
গায়ে মাথায় হাত বুলাই
ইচ্ছা হয় ওকে চাঁদজলে স্নান করাই।
0 মন্তব্যসমূহ