মাসটা যাই হোক না কেন জানালা দিয়ে গরম হাওয়ায় পুড়ে যাচ্ছে গলার
দিকটা৷ অনেকক্ষণ থেকেই তাকিয়ে আছি৷ গাছগাছালির ফাঁক দিয়ে দেখা যাচ্ছে স্কুল ফেরত
মা ছেলে। এই সময় একটা গদ্য লেখাই যায়৷ দুটো পায়রা নিজেদের ব্যক্তিগত মুহুর্ত আড়াল
করবার তাগিদ না দেখিয়ে শেখাচ্ছে প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক আকর্ষণের পথচলতি স্বাভাবিক।
এতে অবাক হবারও কিছু নেই আর লুকনোরও নেই৷ তীব্রতা কোন ভেকবাজি নয়। বাড়ির প্রতিটা
চারাগাছকে যত্ন করে বাড়িয়ে তোলার মধ্যে যে আলিঙ্গণ সুখ আছে তাকে আকর্ষণের আয়না
বলতে পারি৷ আয়না অদ্ভুত একটা শব্দ যেখানে কোনদিনই রাত্রি নেমে আসেনা৷
এখন আয়নার দিকে পিছন করে শুয়ে আছি। জানালার কাচে মুখ দেখা যায় না৷
নিজেকে ভালোবাসি ঠিকই তবে সারাক্ষণ নিজেকে দেখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই৷ হঠাৎ
গরমে আমার কেবলই মনে হচ্ছে কবিতা লেখা মানুষগুলো ঘামে না৷ ওদের আয়ু রেখায় স্মৃতি
আওড়ায় চ-বর্গের বর্ণমালা। কপাল থেকে ঝুলতে থাকে মাটির ঝুরি৷ ধুর মাটির ঝুরি আবার
কি? হয় হয়। শিল্পী চাইলে ব্যাঙের মুখও মানুষের মতো দেখায়৷
আজকাল ফিলোসোফিক্যাল কথাবার্তাগুলো ভালো লাগে না৷ মৃত্যু যদি
অন্তিম তবে সিঁড়িভাঙা অংকে একটা বিড়াল কত লম্বা লাফ দিল সেই হিসেবে না যাওয়াই
ভালো। দুপুরবেলা হলেই তো লাট্টু ছুঁড়ে খেলা দেখাতে হবে৷ অতয়েব দড়িতে মন দিই৷
টানাটানি না৷ ওতে মস্ত আগুন৷ যারা জেতে তারাও হারে৷ উফ ভাবনাগুলো আজকাল বড্ড
এলোমেলো। কোথা থেকে শুরু করে কোথায় যেন চলে যাই৷
দেখতে দেখতে বিকেল গড়িয়ে এলো। সমন্বয়ের জামাকাপড় শুকিয়ে গেছে৷
সন্ধের আগে ঘরে আনতে হবে হাত-পা, হাসিমুখ; তারপর সকলে মিলে চা-সুখ৷ পর্দাগুলোয়
কখনো বাদুড় ঝুলে থাকে৷ আমি ভাবি নস্টালজিয়া। কিংবা মাছের বাজার থেকে ঘুরে আসা
অক্লান্ত আঁশ৷ সহজ কিছু ভাবলে সময়ের জাল তাডাতাড়ি বোনা হয়ে যায়৷ কিন্তু উপায়হীন।
ভাবনার আগেই টুপ করে নক্ষত্র শুয়ে পড়ে বুকের ওপর৷ যাকে হ্যারিকেন মনে করে দুই হাতে
জাপটে ধরি৷ আমাকেও যে পথ দেখতে হবে৷ কিছুটা সোজা, খানিকটা বাঁকা অনেকটা সুস্থ।
পথের ওপর আরও একটা পথ৷ যেখানে সূর্য চন্দ্র বৈঠক করবে ছেলেবেলা নিয়ে৷
0 মন্তব্যসমূহ