দুটি কবিতা
ও ঘরের কথা
ও ঘরের
কিছু কথা বলো,
জানালা
খুলে দিতে পারি
কিছু
ওধারের কুয়াশা নিয়ে এসো
নৌকার
সেই দুয়েকজন যাত্রী
যারা
চুলে মাখিয়ে এসেছে শিশিরের তাপ
তাদের
কথা বলো
একটু ব্যস্ততা
কমিয়ে কিছুক্ষণ বসা যাক
পূবের
বাতাসে
দক্ষিণী
মন্দিরের কারুকাজ
দেখার
আরাম দাও চোখে,
আমাদের
সব ইতিহাস
দুহাতে
যতটা গুছিয়েছি
উত্তরাধিকার
যত ছড়িয়েছি ফেলে
মিলিয়ে
নেব ওঘরের সাথে
অন্যের কথা
তুমি
কাঁদলে প্রথমত পরপর সে বেশ কয়েকটি নাম দেবে
বেশ
খানিকটা হাসি থু করে রাস্তায় ফেলে স্ব-দন্ত কমিশন বসাবে
বস্তুত, সেই ভয়ে সকালের
রোদও এখন তেমন হাসে না
একমাত্র
চাঁদ দূর থেকে হাসে
তবে
তার জ্যোৎস্নার চরিত্র ভালো নয় বলে
শহরে
সে নিষিদ্ধ
বরং
অন্ধকার বাঁকে, মোড়ে, গলিতে, পরপর দেবালয় খোদাই করে
তখন
মানুষ মাটির কাছে যায়
পাথরের
কাছে যায়
প্রেমে, পুত্রেষ্টিতে,
অভিশাপে, বা স্বর্গের সিঁড়ি
মানুষের
কান্নায় পাথর থির থাকে
মানুষের
হাসিতে মাটির দেবতা ঈর্ষা করেনা
মানুষ
ঐ খানে সব কথা বলতে পারে
মৃত
দেবতা কান খাড়া করে মানুষের কথা শোনে
0 মন্তব্যসমূহ