দুটি কবিতা
যতিচিহ্নে যন্ত্রণা বাড়ে
১
শেষ খুচরোগুলো পুণ্যকুয়োয় ফেলে যখন জামার বোতাম সেলাইয়ে
বসলে ঝরা পাতাগুলো জুড়ে যেতে যেতে আড়াল দিল হাতের চেটোয় বহতা হয়ে উঠল রক্তের
শাখানদী বাঁশবন ঝাউবনের মত উঁচু হতে হতে নরম আগাগুলো ভেঙে ভেঙে নাগালে আনল আমার
উড়ে যাওয়া চালে এল নিশ্চিন্তের অন্ধকার ভয় না পাওয়ার পদ্ধতিগুলো শিখতে শিখতে
দেশলাই জ্বলল নিভল ভেতর থেকে আরও ভেতরে
ঢুকতে ঢুকতে চাঁদের ধারালো শিংয়ে গলে যাওয়া মেঘ লাগল ইঁদুর চোখের পেনসিল টর্চ
একাত্ম করে তুলল গন্তব্য উদ্বোধনের জন্য পৌঁছে গেলাম পরিপাটি করে ধুয়ে মুছে
প্লাস্টিকে মুড়ে রাখা নিজস্ব শহীদবেদীর চাতালে
২
This city runs on love কাল
থেকে ভদ্র হয়ে যাব এসব পড়লে হেয়ার স্পা-র মতোই আরাম এভাবেই সংগীত পৃথিবীর
শীৎকার চোখে পড়ে গেল কার শীৎকার আর কে শ্রোতা তার ওপরই শীৎকারের সংগীত হয়ে ওঠা এ
কিছুটা সংগীত শীৎকার পাশাপাশি রেখে মাঝে মাঝে আপ ডাউন করার প্রয়াস বেস্ট বিজনেস
হেড হয়ে যাওয়া লোকটার মনে পড়ে বউ বান্ধবী সহযোগে উইক-এন্ড পিকনিকে ডাইভিং বোর্ড
থেকে তুখোড় টেকঅফের পর দুচোখে দৌড়ে আসে পানাপুকুরের ঝাঁঝি চোখ টি-শার্টে ফিরে এলে
দেখে বাদ পড়া যতিচিহ্নরা বুকের এদিক থেকে ওদিক ছুটোছুটি করে বদলে ফেলছে সমস্ত
দমদার ওয়ানলাইনারগুলো
0 মন্তব্যসমূহ