গণতন্ত্র
বুকের ভিতরে গণতন্ত্র আঁকা হয়নি বলে ভোরবেলাগুলো কান্না গুছিয়ে রাখে। জলপাই বিকেলের চিঠি ছিঁড়ে ফেলার আগেই নদী এসে আড়াল দেয়।
জলের আড়াল।
কুয়াশাপাড়ে ভেসে থাকে মুকুটের গ্রাম।
এপার আঁকড়ে থাকে গানহীন লতাগুল্মে। মা-পাখির নড়বড়ে বাসায়
রোদ ফুরিয়ে যায়। জীবনও।খড়কুটোয় ঘুণপোকা। সামান্যটুকুও ঝরে
যায় মেঘের দামালপনায়।
ব্যথাদের পাথর পায়। টুকরো টুকরো লাল নীল ব্যথার পুঁতি।
চোখের ব্যঞ্জন পুঁথি খুলে বসে উপকথার।
ঝিলের ওপর ঝিলমিল আলোর পথ। পাথরের নীচে কামনাতাড়িত জল
মাছকথা বলে। বলে অরাজক হও।
উড়তে চাইলে বারণের ছায়া ভাঁজ মেলে দেয় ডানার বিভক্তিতে ।
ভয়ের ত্রিশূল এলোমেলো করে অলিভ ব্যথার গুঞ্জন। পুড়িয়ে
দেয় জিভের মানসিক। ঘষে ঘষে তোলে মিথ্যের মায়া।
জলের কাছে বসি।
জলই তো একমাত্র উপশম! তাই অনন্ত জলেই ভাসাই জলের আনতি
।
5 মন্তব্যসমূহ
অসম্ভব ভাল লেখা...ভাষা হারালাম।
উত্তরমুছুনধন্যবাদ
মুছুনখুব ভালো লাগল … মুক্তির সম্ভাবনা প্রতি শব্দে
উত্তরমুছুনভালোবাসা অমৃতা
মুছুনখুব সুন্দর লেখা
উত্তরমুছুন