গুচ্ছ কবিতা
সীমা
মেয়েটিকে এত কাছ থেকে দেখে
খুব হাই হয়ে যাই—
এতটাই
যে, এখান থেকে পদস্খলন হলে
ভুল হবে
অন্যায় নয়
শোকযাত্রা
একটি মৃত পিঁপড়ের দেহ
কীভাবে অন্য পিঁপড়েরা বহন করে, দেখি—
দেখি আর ভাবি, এও সম্ভব!
অতঃপর আমি মানুষের দিকে তাকাই
ভূ
ধান রুইছে কৃষক
পৃথিবী লেগে যাচ্ছে তাঁর হাতে
হেড-টেইল
বাড়ি থেকে বেরুবার সময় সবটুকু অন্যদিনের মতই
কালোশাদা বিড়াল কার উদ্দেশ্যে যেন ফ্যাঁচ করে ওঠে
সারাদিন ধরে কেউ দুধ জ্বাল দেয়
রোদের তেজ বাড়ে—
উথলে উঠছে দুধ…
মাঝে মাঝে ফু দিয়ে, আঁচ কমিয়ে,
বশে রাখা হয় ওই উথলে-ওঠাটুকু
তবু পাত্রের ঢাকনা কাঁপে থরথর করে…
পাশাপাশি দুটো বাস তীব্র বেগে কোথায় একটা চলে যায়
ডেকচি থেকে এক ফোঁটা দুধ, গড়িয়ে নামে
জ্বলন্ত উনোনের দিকে—
ফস করে পুড়ে যায়
টায়ারের গায়ে লেগে থাকা ঘিলু
বাড়ি থেকে বেরুনোর স্মৃতিটুকু নিয়ে
একটা স্টপেজ বাদ দিয়ে পরের স্টপেজে গিয়ে হাঁপায়
পোড়া দুধের গন্ধ ঘুরে ঘুরে উঠে যায় আকাশে…
অনুপস্থিতি
প্রায় মাস তিনেক হল
মানুষের স্বরে তার আর ডেকে ওঠা নেই
ঘরের ভিতরে, সোফাসেটের কর্নারগুলোতে
তবু এখনো খুঁজলে হয়তো পাওয়া যাবে
ব্যবহৃত কেরাটিন
বসে থাকার ভঙ্গি ও উচ্চারণবিধি
12 মন্তব্যসমূহ
সব মণিশংকর এমন মাস্টার হয় বোধহয় । শুভেচ্ছা কবিকে ।
উত্তরমুছুনআমারও তাই মনে হয় দিশারীদা
মুছুনভীষণ ভালো। বিশেষত প্রথম তিনটি মারাত্মক
উত্তরমুছুনখুব ভালো লেগেছে। সকাল টা ভোর হয়ে গ্যালো ❤
উত্তরমুছুনশোকযাত্রা আর অনুপস্থিতি অসাধারণ! মণিশংকর কখনো পুনরাবৃত্তে বিশ্বাসী নয়। প্রত্যেকবার তার কবিতার অবয়ব, ছবি বদলে যায়
উত্তরমুছুনখুব ভালো লাগলো বরাবরের মতই
উত্তরমুছুনখুব খুব সুন্দর, শুধু হেড টেইল কবিতায় রোদের তেজ বাড়ে, এই লাইনটি ছাড়া পড়লেও অসুবিধা হচ্ছে না।
উত্তরমুছুনলেখাগুলি পড়িয়ে নেয়, নিজেরাই!
উত্তরমুছুনখুব ভালো লাগল লেখাগুলি।একটু পাল্টেছে তোমার লেখা। ভালো হচ্ছে।
উত্তরমুছুনঘোর লাগে। ঘোর লেগে যায়।
উত্তরমুছুনএক কথায় অসাধারণ
উত্তরমুছুনমাটি ও মানুষের সুবাস, আপনার লেখায় বারবার পেয়েছি
উত্তরমুছুন