একটা বছর অতিমারীর দখলদারিতে
বইমেলা ছিল অধরা। তাই এই বছর পাঠকের আকাঙ্ক্ষা ছিল অনেক। সেই মতো প্রাপ্তিও ঘটেছে।
সংখ্যার দিক থেকে তো বটেই, কিছু বইয়ের পাঠ শেষে বোঝা গেল মানের দিক থেকেও তা নিরাশ
করেনি।
প্রাক করোনা যুগেও মেলায়
ঘুরে ঘুরে দেখার অভ্যেস ছিল বিজ্ঞাপনের প্রচারের বাইরে ভালো কিছু কোথায় মুখ লুকিয়ে
আছে। এই বছরও সেই অন্বেষণ ছিল। প্রতি মেলাতেই দেখেছি মোটা মোটা গুরু গম্ভীর বইদের
পাশে কীরকম ম্লান মুখে অপেক্ষায় থাকে চটি বইয়েরা। যেন গরীব ঘরের স্নেহ প্রত্যাশী
দু;খী মেয়ে। সারাদিন পরিশ্রম করেও যারা কখনো দুটো মিষ্টি কথা শোনে না। এই বছরও সেই
ভাবেই খুঁজতে খুঁজতে হাতে উঠে এল অমূল্য কিছু রত্ন। তার মধ্যে কিছু বই এই বইমেলার
আগেই প্রকাশিত। কিন্তু এই পাঠকের নজর এড়িয়ে গেছে। তাই অন্য পাঠকদের নজর যাতে না
এড়ায় তাই এই তুচ্ছ প্রচেষ্টা।
বিভিন্ন দশকের পাঁচ কবির
পাঁচটি কাব্যগ্রন্থ পাঠের অভিজ্ঞতা সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চাই।
-------------------------------
হলুদ ঘাসে পরবাস
কবি- ঈশিতা ভাদুড়ী
প্রকাশক- সৃষ্টিসুখ
প্রচ্ছদ- অমিতাভ ভট্টাচার্য
ছোট্ট আকারের এই
কাব্যগ্রন্থটিতে সবগুলিই অণু কবিতা। কবিতাগুলি নামবিহীন এবং সংখ্যাচিহ্নিত। হাইকু
ধর্মী। তিন পংক্তির। মানুষের জীবনের কিছু কিছু মুহূর্তমাত্রে ঘটে যাওয়া গভীর অনুভব
ধরা পড়েছে কবিতাগুলিতে। কবিতাগুলি আকৃতিতে অণু কিন্তু ব্যঞ্জনায় গভীর। কিছু কিছু
কবিতা তীক্ষ্ণভেদী। বিভিন্ন ধরনের কল্পনা মিশে আছে। নৈঃশব্দের অর্থ, শিশুকে ছেঁড়া
শকুন রাত এই সব টুকরো নিয়েই কবিতাগুলি রচিত। কিছু কিছু কবিতার মধ্যে পূর্ণাবয়বের
সম্ভাবনা থাকলেও কবি সেই প্রলোভন বর্জন করেছেন। পরিমিত বাক বৈশিষ্ট্য কবিতাগুলিকে
সংযমী চরিত্র দিয়েছে।
কিছু কবিতা তুলে দিই-
৭১
উত্তরণ
মানে নিচে যাওয়া
কিছুটা আরো
৮৯
অন্ধকারে
অজগর ঘোরে ফেরে
পুকুর পাড়ে
৯৮
গুহার ছবি
ফুটে ওঠে তোমার
মুখে, প্রাচীন
১০১
মৃত্যু মানে
অনুপস্থিতি আর
ফটো ফ্রেম
কাব্যগ্রন্থটির প্রচ্ছদ আর
অলংকরণের জন্য অমিতাভ ভট্টাচার্য পৃথক সমাদর পাবেন।
---------------------------------------------
পরাবিদ্যা
কবি- ঋতা বসু
প্রকাশক- অনুষা
প্রচ্ছদ- ঋতা বসু
দ্বিভাষিক কাব্যগ্রন্থটিতে
কবিকন্যা কৃত্তিকা বসু কৃত ইংরাজি অনুবাদও রয়েছে।
ছিমছাম আকৃতির
কাব্যগ্রন্থটির কবিতাগুলি ছোট, নাম ও ক্রমিক সংখ্যাবিহীন। প্রতিটি কবিতার পাশেই
রয়েছে তার ইংরাজি অনুবাদ। তাই ভিন্ন ভাষাভাষি কবিতাপ্রেমীর কাছে এই কবিতাগুলির রস
পৌঁছে যাবে। অকালমৃত প্রিয়জন, সামাজিক মৃত্যু, বিবেকের মৃত্যু সবকিছুই প্রতিফলিত
হয়েছে কবির অন্তর্দর্শনে। তবু, সে সব ছাপিয়ে আলোর দিকে যাত্রা কবির। জীবন খুঁড়ে
শিকড় চালিয়ে দেবার সংগ্রাম যাতে ঊর্ধ্বাংশ ঊর্ধ্বে আলোর দিকে ধাবিত হয়।
কবির আশ্চর্য করা ভাবনায়
এসেছে –
“ কৌতূহলী তীক্ষ্ণ নখ রক্ত
পিপাসায়/ এসেছে এদ্দুর”
“ সম্পর্কের দড়িদড়া আলগা
হাতে ছুঁয়েছে আমায়”
কিংবা, “ মায়ের শাড়ির আঁচলের
মতো ওই -/ মোহনা”
“ সব পথ রুদ্ধ সব পথ খোলা”
প্রচ্ছদ কবি নিজেই এঁকেছেন।
তাই স্বাভাবিক ভাবেই মূল সুর তাতে ধরা পড়েছে। অনুবাদগুলিও যথাযথ।
----------------------------------------------------
সাম্য সুদীপ প্রসূন
কবি ত্রয়ী- সাম্যব্রত
জোয়ারদার, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রসূন ভৌমিক
প্রকাশক- প্রসূন ভৌমিক
গ্রন্থসত্ব- বিজল্প
প্রচ্ছদ- সাম্যব্রত জোয়ারদার
ছিপছিপে কাব্যগ্রন্থটি তিনটি
বিভাগে বিভক্ত। বিভাজন নামের অনুসারী।
সাম্য অংশটির কবি সাম্যব্রত।
কবিতাগুলি নাম ও ক্রমিক সংখ্যাবিহীন। কবিতাগুলিতে কবি এক বিখ্যাত লোকগীতির “ ভ্রমর
কইও রে গিয়া” অংশটি গ্রহণ করেছেন। ভ্রমরকে আহ্বান করে তিনি মাটির কাছাকাছির
মানুষদের নিত্য সংগ্রাম আর অনিশ্চয়তার কথা যথাস্থানে পৌঁছে দিতে অনুরোধ করেছেন।
এমন বেশ কিছু কথা তিনি বলেছেন যা কবিতায় অনুবাদ করা কঠিন। কিন্তু কবি সাবলীল ভাবেই
তা পেরেছেন। এই কবিতাগুলি পড়তে পড়তে অল্প বয়েসে পড়া আশির দশকের কবি জয়দেব বসুর
এমনই একটি চটি কাব্যগ্রন্থের কথা মনে পড়ে যাচ্ছিল। সেখানে কবি কালিদাসের মেঘদূতের
অনুকরণে মেঘকে দূত করে সাধারণ মানুষের জীবনের গ্লানি আর ব্যর্থতার কথা যথাস্থানে
পৌঁছে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সভ্যতা এখন আরো এগিয়েছে। তাই নিচুতলার মানুষের জীবন
আরো সংকটময় , সংগ্রাম আরো জটিল। নিত্য নতুন নিয়ম আর আইনের ঘূর্ণাবর্তে টলটলায়মান।
সেই সব কথা সাম্য তুলে ধরেছে। এর প্রয়োজন ছিল।
‘ পুরুলিয়া জেলা থেকে
বাঁকুড়া জেলায়
টেরাকোটা রাধাঅঙ্গ কালি হয়ে
যায় “
অথবা
“ কোটা শেষ, কৃষিমান্ডি গেটে
তালা ঝুলিয়েছে
তাহলে কি বিষ খেয়ে মরে যাব
জমি বেচে দেব
ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া কাঁকরোল
সবজি পথেই হারাব? “
আরেকটি কবিতা-
“এরই মধ্যে জুটমিল শ্রমিক
অসন্তোষে
কমব্যাট ফোরস এসে বিক্ষোভ
হটায়,
প্রতি শিফটে অতিরিক্ত উৎপাদন
চায়
মালিকেরা, যদিও বেতন বাড়াবে
না।
একশো টাকার পণ্য শ্রমিকের
দু”টাকা “
কাব্যগ্রন্থটির দ্বিতীয়
বিভাজন সুদীপের জন্য। এক মলাটের মধ্যে ভরে ফেললেও তিন কবির বিষয়, ভাবনা, ধাঁচ- সবই
পৃথক। সেখানেই বৈচিত্র।
সুদীপের কবিতাগুলি নামবিহীন
হলেও ক্রমিক সংখ্যা দিয়ে চিহ্নিত।
প্রথম কবিতাটিই পাঠকের মন
বেঁধে দিল উঁচু তারে।
“ একদিন তাকে নিভন্তে ডেকে
নিয়ে
বলে দাও, ভালবাসার অস্থিরতা
মৃত্যুর মত অমোঘ তেমনও নয়
কারণ, জীবন ঘুরন্ত এক গ্রহ”
ওই কবিতাতেই তৃতীয় স্তবক
বিস্মিত করে –
“ চাবুকের কোনো প্রেম নেই
কেন, জানো
কারণ, বেচারা শাপ-অভিলাষী
প্রাণী
পূর্ব জন্মে প্রেমিকেরই ত্বক
ছিল
দ্বন্দ্বে- শিকারে ম’রে সব
বিস্মৃত “
অনেক দৈনন্দিন কথা উঠে
এসেছে। খুব পরিচিত সব ছবি পাওয়া যায় অনেক কবিতায়। পাড়া লীগের ছেলে হোক বা রেডিও
শোনা বৃদ্ধ ফতুয়া- সবই কবির কাব্যের চরিত্র, দৃষ্টি হারায় না।
কথা বন্ধ রেখে বরং আরেকটি
অবাক করা কবিতা উল্লেখ করি।
“ সাততলা কার্নিশে রানওয়ে
নখ ঘষে উড়ে গেল কাক
অনেকটা নিচুতে একটা প্লেন
ঘর্ষণের মায়াটি ছাড়াল
কে যে আগে গন্তব্যে পৌঁছবে
ডানা ঝাপটে ক্ষয়ে যাচ্ছে
ভোর”
কাব্যগ্রন্থটির সর্বশেষ ভাগ
প্রসূনের জন্য বরাদ্দ। এই কবির কবিতাগুলি পৃথিবীর তুচ্ছাতিতুচ্ছ প্রাণের ধারা,
প্রকৃতির প্রতি অপরূপ মায়া বর্ষণ করে চলেছে। এই মায়ার বৃত্তে রয়েছে গাছ থেকে
জোনাকি। পাখিদের নির্মম হত্যা আর গুলিতে ঝাঁঝরা কাশ্মীরী কিশোরের জন্য মনোবেদনা
একাকার হয়ে আছে।
“ গাছের ফসিলে ইশারা
লুকিয়েছিল
খনিসম্পদ ভেবে সভ্যতা
জ্বালানি পুড়িয়ে দিয়েছে
গাছের বাকলে মন্ত্রটি লেখা
ছিল
উনুনে পুড়েছে অক্ষরগুলি
ধোঁয়ায় ঊড়েছে বার্তা।“
অতি সম্প্রতি প্রমাণিত হওয়া
বৈজ্ঞানিক সত্যও উঠে এসেছে তাঁর কবিতায়। বিজ্ঞানের সাম্প্রতিক আবিষ্কার এই যে,
পৃথিবীর গাছেদের নিজেদের মধ্যে এক অদৃশ্য নেট ওয়ার্ক আছে খবরাখবর আদানপ্রদানের জন্য।
“ বায়ুবন্ধ! বন্ধ
রেণুপ্রবাহের নিহিত সিমকার্ড
গাছেদের নেটওয়ার্ক ক্রমশ
বিকল”
শেষ কবিতার শেষ দুটি পঙক্তি
সব কবির জীবনের জন্য সার কথা।
“ কী তার সাফল্য লেখা, যদি
না তক্ষক ডেকে উঠে
‘ লেখা সত্য ধ্রুবসত্য’
সমর্থন না করে বাগানে”
কাব্যগ্রন্থটির প্রচ্ছদ
বাহুল্যবর্জিত, মনোগ্রাহী।
-----------------------------------------------------------------
মৃদঙ্গের নূপুর
কবি- অংশুমান কর
প্রকাশক- অস্ট্রিক
প্রচ্ছদ – অরূপ প্রামানিকের
আলোকচিত্র
“ কিন্তু শিহরণ, তুমি আসলে
আত্মার প্রেমিক”
নাম শুনেই মনে হয়েছিল কবির
অন্যান্য কাব্যগ্রন্থের থেকে এর চরিত্র আলাদা হবে। কবিতাগুলি পড়ে বোঝা গেল কবির যাত্রা বা সন্ধান
এতদিন ছিল বাইরে। এই কাব্যগ্রন্থে সন্ধান ফিরে এসেছে নিজের কাছে, যাত্রাপথ
অন্তর্মুখী। তাই, কবি যখন
শিব হয়ে নিজের কবিতাটি লেখেন, তাকে সাজান সযত্নে তখন তাঁর সেই কবিতাটিকে উমা বলে
ভ্রম হয়।
কখনও লেখা তাঁর কাছে বৃক্ষ।
বৃক্ষের চাই পর্যাপ্ত আহার।
“ তারও চাই বন্ধু আলো ,
শত্রুদের চিন্তাজাত কার্বনের
কণা,
তব গুহামুখ থেকে উতসারিত জল,
স্বাদে নোনতা, খনিজ তরল। “
এই ভিতর অভিলাষী যাত্রাপথে
কবির প্রয়োজন স্তব্ধতা আর নৈঃশব্দ। সেই আকুতি থেকেই উঠে আসে
“ পৃথিবীতে কোনোখানে
স্তব্ধতা নেই
শুধু গুনগুন আছে।“
(স্তব্ধতা)
“ কিন্তু পৃথিবী নিঃশব্দ নয়
কেউ –না-কেউ হাঁটছেই
শোনা যাচ্ছে খড়মের শব্দ,
হাওয়াই চটির শব্দ,
খালি-পায়ে পাতা মাড়িয়ে
যাওয়ার শব্দ
খড়খড় খড়মড় নভতলে, অনাদিকালে,
এই স্থানে ওই স্থানে” (নি;শব্দ)
শেষ কবিতাটি পুরোটাই উদ্ধৃত
করলাম। এ তো সকলের কথা। কেউ উপলব্ধি করে, কেউ করে না।
“ কত মরু শহরে মানুষ ঘুরল
কত দিবারাত্রি, কত সন্ধ্যা
অতিক্রান্ত হল পাহাড়চূড়ায়,
তীক্ষ্ণ বাতাসে
বোতাম ফুলের এই ছোটো জনপদে।
তবু তার শ্রেষ্ঠ ভ্রমণ
মৃত্তিকায়
ছাই হয়ে, অস্থি হয়ে
সে কাটাবে অযুত- নিযুত বৎসর
গর্ভে, পৃথিবীর। ( ভ্রমণ)
এই কাব্যগ্রন্থটি থেকে নতুন
এক যাত্রাপথে কবির সফর শুরু হল।
কাব্যগ্রন্থটির প্রচ্ছদ
যথাযথ।
----------------------------------------------------------
ইত্যাদি
ইত্যাদি
কবি- দীপ্তিপ্রকাশ দে
প্রকাশক- বার্ণিক
প্রচ্ছদ- সম্বিত বসু
কবি অতি তরুণ বয়সী। কিন্তু
তার ভাবনা ও জীবনদর্শন নজর
কাড়ে। ভূমিকাতেই কবির
সংবেদনা মন স্পর্শ করে। সেখানে হঠাত অন্ধ হওয়া টিউব লাইট আর আচমকা দৃষ্টি হারানো
মানুষ কবির কাছে একাকার। কবিতাগুলি ক্রমিক সংখ্যা চিহ্নিত। এই কাব্যগ্রন্থের
প্রতিটি কবিতা চমৎকৃত করে।
রোদের আশা আর বৃষ্টির কামনার
মাঝখানে উবু হয়ে বসে কবি জীবন দেখে, পরিবর্তন দেখে, পড়তে পারে নিজকৃত মহাকালের মত
ভুল।
কবি এই পরম সত্য বুঝে যান
যে, সাহায্যের হাতফাত নেই। যেগুলো আছে, সেগুলোর একটা ডান আর অন্যটা বাম।
কবির কবিতায় উঠে আসে জীবনের
পরীক্ষার কথা, যেখানে নিজেই নিজেকে জিজ্ঞেস করতে হবে হয়েছে কি হয়নি। উঠে আসে সেই
সব অফিসের কথা, যেখানে বাধ্যতার ছিপি মুখে গুঁজে রাখলেও মেঘ জমে থাকে আর সারাক্ষণ
বৃষ্টির সম্ভাবনা।
অসম্ভব ভাল ব্যঙ্গ আর কৌতুক
বোধ।
“ মানুষ কত কী পোষে ।
তার মধ্যে একটা হল রাগ। রাগের সিং আছে, কিন্তু ডানা নেই। তাই তাকে ছেড়ে যে- কেউ। রাগ ইচ্ছেমতো ঘুরে বেড়ায়। সকালে, বিকেলে, মাঝরাতে। একে চমকায়। তাকে ধমকায়। এর নাম লিস্টে ঢোকায়। তার নাম বাদ দেয়। হবুকে ওঠায়, গবুকে নামায়”
আরেকটি কবিতা যা আমরা, যারা
সারাক্ষণ জীবিকা আর জীবন নিয়ে নাজেহাল অথচ কবিতা যাদের জীবনের অঙ্গ, তাদের সকলের
হয়ে কথা বলে।
“ কবিতা এক আজব শয়তান। যেদিন
তোমার গুচ্ছের কাজ থাকবে, মগজে ঢুকে
ঘাই মারবে সে। ঘন ঘন বেগ
আসবে তার। অথচ তুমি তো সংসারি। কবি হতে
না পারা সংসারি। তোমাকে মাছ
কিনতে যেতে হবে সকালে। মায়ের প্রেশারের
ওষুধ কিনতে হবে। ছেলের টিউশন
মাস্টার ঠিক করতে হবে। ব্যাংকে কে ওয়াই
সি জমা দিতে হবে। বাবার
পেনশনের টাকা তুলতে হবে।“
ভারি আহ্লাদ হয় দীপ্তির কবিতা পড়ে।
খুব সাধারণ বিষয়কে কবিতা করে
তুলতে কবি সিদ্ধহস্ত।
এগরোল খাওয়াও কীরকম কবিতা তা
জানার জন্য দীপ্তির কাব্যগ্রন্থ সংগ্রহ করে পড়ুন।
প্রচ্ছদ মার্জিত।
----------------------------
0 মন্তব্যসমূহ