হিপোক্রেসি
উন্মুক্ত কারাগারে
অন্যায় পাহারা দিচ্ছে
ধর্মধ্বজী কাকতাড়ুয়ারা;
বাসী পাউরুটির পুডিং
হচ্ছে
এলোমেলো ক্ষত আর
বিনিদ্র উৎকণ্ঠায়,
ময়লা জামার ভাঁজে
উঁকি দিচ্ছে অধিকার
দাবীর খেসারত;
ক্লান্তির বাষ্প চুমু
খাচ্ছে
অবৈধ হাতকড়ার ফাঁকে
বিদীর্ণ চামড়ায়।
ঠোঁট কাঁটা বকেরা সব এক
পায়ে দাঁড়িয়ে;
হিসেব কষবে শূন্যে,
অকথ্য কুর্নিশে হারিয়ে
যাবে না হয়তো
দরিদ্রের হাহুতাশ;
জিভের শরীরে অবসন্ন
প্রায় গর্ভবতী স্লোগান,
শুষ্ক লালার মেঝেতে
সৈন্য নিয়ে তারা সাবধান;
বিব্রত জনতার একি
ভয়ঙ্কর হাহাকার।
মিছিল
নীরব মিছিল বেরিয়েছে
রাস্তায়,
ধর্ষিত ভাবনাগুলো
হেঁকে যাচ্ছে সস্তায়;
কাগজের সাদা কার্পেটে
মৃত শব্দের হাহাকার,
দোয়াত ভর্তি রক্ত
চাইছে তাই ইনসাফ।
তারা ভাঙ্গবে শিকল,
নিরক্ষরের কপাট খুলে
ফিরিয়ে আনবে অক্ষর,
বিদ্রোহী তারা;
অলস ঘিলুর চামড়া ছিড়ে
স্বাধীন করবে বর্ণ,
তাই,
অঘোর কালিতে বারুদ
মেখে,
ঘোষণা করেছে যুদ্ধ।
পরিত্রাণ
বেসামাল স্বপ্নের সমাধি
আগলে
রাত জাগে জোনাকির দল।
নিঝুম রাতে নূপুর পায়ে
শব্দ আঁকে কান্নার;
ঊষর আলিঙ্গনে
মুছে যায় শোধ ;
নিথর সত্তা বাষ্প হয়ে
ভেসে বেড়ায়
গহ্বর অন্ধকারে।
অশরীরী চুম্বন, স্পর্শ
করে
উত্তেজনার তাপ;
বিদায়ের ব্যগ্রতা।
সাবলীল সম্মেলনে
আবারও ফুরিয়ে যায় রাত।
অনুরণন
উদ্ধত অসীমের
শূন্যের জালিকা ভেদ করে
কালবৈশাখীর মতো তেড়ে
আসে
কোনো অনির্ণীত অনুরণন।
অকুণ্ঠচিত্তে বিলি করে
মিষ্টতা,
অলৌকিক সেই অনুভূতি;
শব্দের সা রে গা মা
লুট করে
ফিরিয়ে দেয় নিঝুম
সুশ্রাব্য
শিহরণ।
0 মন্তব্যসমূহ