দীর্ঘস্বরে
__________
মৃদু তার জগদ্ধৃতায় মেতেছি কালমৃগয়ার
রণক্লীব মঞ্চায়নে।
রাগ করে সমুদ্রসাপ। রেগে ওঠে সর্বজনীন
ঋতুপাতে, আবর্তনে
এই ছিলো সোহম তবু ঐ যে অগ্নিপ্রমায়
জিহ্বা প্রবেশ করে
ঐ যে দেশ বিভাগের শিশু সব গাইছিল সা
না শেখা দীর্ঘস্বরে
তবে এই জগদ্ধৃতায় যোনিহীন বসত ভিটার
গোপনীয় ওষ্ঠধ্বনি
কিছুদিন কিচিরমিচির কিছুদিন কারবালা আর
কিছুদিন নৈরামণি
চৌরাসিয়া
____________
একটা বিরাট বড়ো সুধারাক্ষস ঢুকে বসে আছে ভেতরে।সে উড়ে
বেড়ায় ।তার মাথা ঘোরে।সে মধুপর্ক ও অল্টার ইগো।
আসলে এও তো ভাত ফুটে ওঠার মতন
চন্দ্রগ্রহণ দেখবো চৌরাসিয়া বাজিয়ে
মৃতদেহ মড়ক ছড়াবে
রুহ্প্রবণতা
_____________
আমার রুহ্প্রবণতা
শুনে যায় পূবালী পূবালী
জগতের রহস্যমসীহা
একটু
একটু ফিরে তাকিয়েই
সারা গায়ে আলো নিয়ে ডাকে
ফিরে তাকানোর দিকে
বিনির্মাণ
___________
এইটুকু কলোরোল যদি কাতরতা শোনে
যদি নিঝুমেও রয় ক্লীবাঙ্গের হাড়!
এই কাতরতা
এই স্তনবৃন্তের মতো আলো এই দক্ষতাহীন তক্ষক
সবই তো সুচিন্তিত কালের
ছাড়ি উদ্বাস্তুরমণ তবু ছাড়ি
গর্ভাধান
কাতরতার পাশে জ্বলে থাকি
এইটুকু
বিনির্মাণ
গোসাপের কবিতা
__________________
(১)
গানের ভেতরে গান একটা বিস্তীর্ণ ঘুরে বেড়ায় যেন পরিতৃপ্ত
স্তন।ঈষতের ভেতরে যায় গান।
সংকেতের মতো রাখি ঘাসের তলায়। নিরুদ্বেগে তখনও বোঝেনি
মূর্ছনার শালপ্রতীম জনরব। সে তখন অশ্রুর মতন উপমা।
শীতের ভেতরে ডেকে ওঠে গোসাপেরা। জানিয়েছে আগামী সাগরে বালক
ভাসাবো।ভ্যানিস হওয়ার পরে জ্বলে উঠবে একটা আয়না।
প্রদীপের বোধ নেই বলে জানে না এক অফুরন্ত রাষ্ট্রের চারণ এই সব
গান শোনে।দিকে দিকে সাজের বাজনা।ছোটো ছোটো দলে বাজে। ইশারায় বাজে।এই আমরা তখন
পরোজের মতো বেঁচে থাকি। জমিতে কুয়াশা হয় খুব।
আবার জমে ওঠে মক্তবের সন্ধেগুলো।জোনাকিছায়ায় বসে দেখি আরোহী
বিলাবল বাজিয়ে চলেছে।তার শ্রমমুক্তির দিনগুলো ঠিকরে বেরোচ্ছে।নিষ্কম্প বাজিয়ে
চলেছে।তবু দিগন্তে ঐ এক গর্ভপ্রবণতা।
মুর্শিদ আর কিছু বয়ান করেনি।
(২)
ভুবন ভরানো বিগত নামাজের পর মনে হয়, তবে কী আমার মতো অনর্থক
কেউ বেঁচে থাকেনি!
জরাসন্ধবীজ বাড়ে ধিকিধিকি মানচিত্রময়। বেড়ে উঠে বলবে
সম্পূর্ণ শিকারের কথা।মধ্যযুগের কথা। কিংবা আস্থায়ী যেমন আউলায়।
অনেক দূরের গ্রামের মতো বেলায় কিছু উদ্বাস্তু ভেসে যায়।
শিহরণ জাগে।কুয়াশায় পিলুঁ বাজে।
কুয়াশার মধ্যে পথিকৃৎ বেজে ওঠেন ক্রমশঃ নির্দ্ধিধায়...
পরমন্তপঃ
____________
বিকল্পে অতীন আছে বিকল্প ঝিনুক তো
কিংবা নিরাহার শেষে হাঁটি হে দুনিয়া
পশুশ্লোক ভেসে যায় অতীব নিরুক্ত
ছিন্নঠোঁট ধ্বস্তলিঙ্গ দলীয় মুনিয়া
উড়ে উড়ে বলে হুম্ বলে সমস্বরে
নিঃশব্দ প্রচেত জলে ঈশপ সাঁতরায়
প্রতিটি কান্হু পা প্রতি আসরের পরে
সন্তান কামড়িয়ে ধরে আড়ালে সরায়
বতরে বতরে ভরে গিয়েছে দাফন
যতদূর বৃষ্টি পড়ে তত অন্তরায়
প্রাচীন জরায়ুঘোরে একা প্রস্রবন
ভাসিয়েছে অস্ত্রনথ এবং ভাসায়
তবে কী নালোক তুমি?ক্ষেতের ইঁদুর,
ভিক্ষে দাও জলিধান, গর্ভপায়ী নূর
চন্দ্রাবতী দিনে
___________
হু হু দেহরক্তে কিছু সুরাইয়া আর রোহিণীর
রেওয়াজ উড়ে উড়ে যায়
এসে বসে আমাদের জীবাণু ধরণে
কিছু উচ্ছ্বলিত কিছু পুরুষাঙ্গতর
কল্পনায় ডাইনামো লিখেছে দুষ্ক্রিয়া
আমিও তুখোড়মেঘে লিপ্ত পূবালীতে
দেখি তক্ষকের শেষ খায় দেহন্যস্তমীণে
এই হু হু সাগরের চন্দ্রাবতী দিনে
6 মন্তব্যসমূহ
বার বার পড়িয়ে নেয়।
উত্তরমুছুনমাথা খারাপ করে দেওয়া এবং কবিদের কাছে ঈর্ষণীয় কবিতা| কবিকে শুভেচ্ছা জানাই এমন দুর্দান্ত কবিতা উপহার দেওয়ার জন্য| 💚
উত্তরমুছুনখুব ভালো লাগলো সব্যসাচী মজুমদারের কবিতা।
উত্তরমুছুনখুব ভালো লাগলো সব্যসাচী মজুমদারের কবিতা
উত্তরমুছুনমুগ্ধ হলাম আপনার কলমে ❤️🙏
উত্তরমুছুনঅপূর্ব সবকটিই
অসম্ভব ভালো কিছু কবিতা পড়লাম।
উত্তরমুছুন'কুয়াশার মধ্যে পথিকৃৎ বেজে ওঠেন ক্রমশঃ নির্দ্ধিধায়...'--অক্ষয় থাক এটুকুই...