এসেছি রিপু নিয়ে আর খেলা করছি অনন্ত পশ্চিমে
এসেছি রিপু নিয়ে আর উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপিয়ে
বলছি জল দে, বলছি পানি দে, বলছি মুখপুড়ি তোর মরণই
ভালো
আরও একটা গর্ত খুঁড়ে সমাজ বসাব আমরা
না-হোক দুর্ভিক্ষ, না-হোক আকাল, তবু তোদের বাড়ি বাড়ি
ঘুরে
ঠিক দেখিয়ে দেব গতজন্মে তোরা ছিলি সব শুয়োরের
বাচ্চা
ছিলি সাপের পাঁচ-পা দেখা হেরম্বের বেটা
আর উত্তরোত্তর আমাদের জেদ বাড়ছে—
কীভাবে শিক্ষে দিতে হয় শিখিয়েছেন ঠাকুর
কীভাবে লোভ দিতে হয় পরের মেয়েমানুষের ওপর
শিখিয়েছেন বাঁকেবিহারী
এখন জল ও জমি নিয়ে, হাওয়া ও পক্ষী নিয়ে
রাস্তার ধারে উল্টিয়ে-রাখা ছাগের মাংস নিয়ে ভাবি
আর ভাবতে ভাবতে কুক্কুরীকে বিস্কিট খাওয়াই
আহা বিস্কিট! কী অপরূপ ধ্বনিময় তোমার প্রাণ
দাঁতের অনির্বচনীয় ব্যবহারে শিহরিত শব্দ করে তুমি
ভেঙে যাও
আর জিভ, কী অদ্ভুত পরিক্রমায় দেখায় ওই যে দাঁড়িয়ে
আছেন দশভুজা
আছেন তো আছেন! সে-তো মহিষাসুরও আছেন
আছেন জটাজুটো সম্বল আমাদের পাড়ার ছেলে বিশুদ্ধ
গেঁজেল—
এসব নিয়ে ভাবার সময় নেই আর
আমরা শুধু দেখতে চাই, ঠিকঠাক বিচার হল কিনা
দেখতে চাই ডাগর মাগির এত ঝাঁঝ ঠিক
ঠাক মাড়াই হয়ে
আমাদের শরীরে এল কতটুকু
ধর্মাবতার,
ব্রহ্মতেজি পুরুষ হয়ে বলছি
এর একটা বিহিত হওয়া দরকার
নয়তো নরকেও ঠাঁই হবে না আপনার
1 মন্তব্যসমূহ
দারুণ কবিতা। কোথাও থামতে দ্যায়নি------পূর্বাপর
উত্তরমুছুন