ধরো তোমার
কাছে দুটো পাখি আছে।
একটি হলুদ
পাখি অন্য পাখিটি হলুদ
তুমি প্রথম
পাখিটিকে বললে এ রং কি তোমার নিজস্ব
সে বলল এ রং
আমার চৌদ্দপুরুষের পাওয়া
তুমি দ্বিতীয়
পাখিটিকে বললে এ রং কি তোমার
সে উত্তর দিল
মানুষ শরীর খুলে খুলে
আমাকে পরিয়ে
দিয়েছে শেষে,
হে মানুষ– পাখি হবার নেশায় এইভাবে....
পাল্লা
তোমার দু'হাতে দুটো শব্দ দিলাম
ডানহাতে
দায়িত্ব আর বামহাতে দিলাম কর্তব্য
প্রবল ভাড়ে
একবার ঝুঁকে পড়ছে ডানহাত
একবার নুয়ে
পড়ছে বামহাত
দুটো শব্দের
ভাড় বোঝনি ব'লে
দু'হাত কেটে রেখে দিলে দু’দিক
পাল্লায়
তবুও বুঝতে
পারলে না কাঁটার মারপ্যাঁচ
ভালোবাসাহীন
পাল্লা কখনো প্রকৃত হয় কি?
বাঘ
অন্তর্বাস
হয়ে গেলে ফিরে আসে বাঘ
পুরনো থাবার
নিচে এখন জন্ম নিয়েছে ঘাস
এ ঘাসের গায়ে
মানুষের গন্ধ নেই
বাঘটি এবার
নিজের দিকে ফেরে
আবার ঘাসের
দিকে রাখে চোখ
আবার ঘাসের
দিকে রাখে চোখ
বাঘ জানে তার
প্রশ্নহীন চোখের অর্থ
অনিচ্ছেকৃত
হাঁটতে হাঁটতে হাঁটতে
আমাদের
সংসারে ঢুকে পড়ে একদিন–
আপনাকে দেখিনি
কোনোদিন
আপনাকে
দেখিনি কোনোদিন
আপনি কোন
পাঞ্জাবীটা পরে ঘর থেকে বারান্দায় রাখেন পা
তা আমার জানা
নেই
আপনি কোন
কলমের সাথে কেমন ব্যবহার করেছেন
হয়তো কোনোদিন
জানতে পারবো না
আপনি পাশের
ফ্ল্যাটের মহিলার পায়ের পাতা কতবার দেখেছেন
তা আমি জলের
কাছে শুনতে পাই নি
যুবতীকে লেখা
চিঠিগুলো এখন ঠোঙা হয়ে ঘোরে
এ পাড়ায় ও
পাড়ায় যত খসখস করা হাতে
বারান্দা
থেকে হাত ফস্কে পড়া ভিখিরির আলো
এখনও জেব্রা
ক্রসিং–এ দাঁড়িয়ে
আপনাকে
কোনোদিন দেখিনি
আপনি আদৌ
ভালো ছিলেন না কোনোদিন
একথা বিশ্বাস
করতে আমার একফোঁটাও কষ্ট হয় না এখন