সাম্প্রতিক

6/recent/ticker-posts

গৌতম কুমার গুপ্ত


গুচ্ছ  কবিতা 



মৃত সব কথা

অন্ধ এখন বাতাস
নদী ও সমুদ্র নিজস্বে দোলে 
                                      ঢেউয়ে জলে
শুধু মানুষ বিরুদ্ধ হয়

কেউ হুল্লোড় রাখে 
               দুঃখ বোনে বারোমাস
স্বপ্ন এখন মুলতুবী
বিজ্ঞাপনী বিরতি যাপনের সিঁড়ি

তুই -তুমি -আপনি কতদিন বন্ধ হল 
ঘুরে ফেরে নির্জন ধূলো চবুতরায়
পাখিদের থামে নি আলাপ কথকতা
চেয়ে চেয়ে দ্যাখে দুর্ভোগ
একা একা নিখোঁজ হল বিদুষী মেধা 
ধ্বস্ত সচ্ছল অবকাশ

বলছে না কেউ আজ হু -উ- স  হু- উ -স
সশব্দ ডানা নেই গাছেদের শোক
অন্ধ আবেগে ওড়ে মৃত সব কথা



পদ্ধতি

সাফসুতরো রাখতে হয় তালু
প্রতিটি পরিক্রমার শেষে
ভেঙে দিতে হয় প্রোটিন বীজাণু
       
এতোদিন আবর্জনা ছিল তীব্র ঘুঙুরে
নৃত্যপশরা তেমন বাজে নি 
আফশোষ তুলে রাখতে রাখতে
বেলা পড়ে এল বয়সের ফর্দনামায়

ঠিকরে গেলে আবার ঠিক বিদ্যুৎ হবে দেখো
জীবন ঝলসানো এই প্রথম নয়
মাংস করে খেয়েছে তাবৎ হন্তারক 

প্রকৃত কিরাত বুঝে নিয়েছে
এবার গ্রীষ্ম বর্ষার পর পশুরা লোলুপ হবে
তখন সফল হবে  বর্শা পদ্ধতি


আছি


আনন্দ নাম ধরে ডেকেছে বারবার
সাড়া দিতে দিতে বেলা হয় নি
সময় সারণী ধ্রুবক করেছি

এখনও তোমার নৃত্যপশরা অঙ্গে অনঙ্গে

এইসব সংক্ষিপ্তসারে মন ছিল না তোমার
দীর্ঘ উ থেকে ঝরেছে বৃষ্টির উপকথা
প্লাবন ডেকেছি তোমার অনুঃস্বারে
স্ফটিক ভেঙে গেছে নিজস্ব প্রথায়

শীত ও বসন্ত সমাগমে 
অনাবশ্যক হয়নি ঋতুজ বিভাব
ডেকে নিও আবার

    এমন কি অবেলাতেও আছি

অসময়


মৃত্যুর মতো দাঁড়ায় এসে ছায়া
কখনো রৌদ্রের গাছ কখনো বৃষ্টির ছাতা
বেশ তো ভিজি সবৃদ্ধিমূলে
      অসময়ে তবে ও কেন আজ? 

মিথ ভেঙে চলে যাবে প্রজাপতি
শূন্য শাখায় দোলে পরাগ
বিরহ থেকে কান্নাজল; বৈরাগ্য

বসন্তবৈরী জলপিপি পাপিয়ার ঠোঁটে
মৃত্যু ছুঁড়ে দেবো একদিন
মুছে যাবে ছায়াপাত ধীরে ধীরে
জীবনীবিন্দু; জলজ শৈবালে



একান্তে

অভিনয় করেছো দেদার
ব্যক্তিগত বলে মাটি রয়ে গেছে একান্তে
পাহাড়ের পড়েনি দায়
      জলও ব্যক্তিগত স্বধর্মের স্রোতে

আগুনের কথা তো আগুনই জানে
সে তো পোড়ায় কেবল
      যায় আসে না কিছুই
মানুষই সঠিক সন্দিহানে
উৎখাত নেবে বলে বর্শা ও জ্যাভলিন

শুধু নিক্ষেপ বোঝে না
মাটি না রক্তমাংস 
কোথায় গেঁথে গেল সূচাগ্র ফলক



কৃষ্ণ রাধা


ভালবাসায় টোল পড়েছে
টোকা দিতেই খসলো প্রেমজ বাঁশি
একা একাই সুর ছড়ালো ফুঁয়ে
পলাশ রাঙা ফাগুন গাইল ঠোঁট

দূরে তখন নদী -নির্জনে প্রেমিক
ঢেউ গুনছে একশো নদীর ঢেউ
বেলা পড়ে এলো ওই
ডাকছে বাঁশি তখনও রাধাসুরে

ও তখন কৃষ্ণ হয়ে বাজলো দূরে
দূরেই





গৌতম কুমার গুপ্ত