দুটি কবিতা
আঁধারে থাক কিছু
আগুনে আগুন জ্বলে যায়, আগুনে আগুন পুড়ে ছাই
কোথা সে বৃষ্টি পথ ভোলা? কোথা সে ছায়ার নীচে ঠাঁই?
যাকিছু হাসির কারচুপি, যাকিছু জড়ানো অভিমানে
চোখের গভীরে থাক জমা, নাই বা ভিজুক তা স্নানে
নাই বা ভিজুক তার ক্ষত, নাই বা উড়িয়ে দিও ভুল
কিছু তো নিজের রেখো যেন, ভোরের শিশির, এলোচুল
এও কি গভীর কোন ঢেউ? এও কি ভাঙবে বালুচরে?
আঁধার ঘোচানো সেই দিয়া, জ্বলবে তখনো একা ঘরে।
নীচে জমা কালো এক শিখা, ছায়ার মতোই পিছু পিছু
দীপকে আলোই বলা ভালো, ছায়ারা আঁধারে থাক কিছু!
২.
আশ্রয়
পুজো শেষ। মনে পড়ে গেল,
দশমীতে ধুলোয় ভরে যেত উঠোন
রাঙা ধুলো, সারা মুখে, সিঁথিতে ভরা
এ সিঁথি ও সিঁথি
এ নোয়া থেকে ও নোয়া
অথচ ফেরা হয়নি কোনদিন আর তার ঘরে।
চারদিকে উলুধ্বনি। ভেসে আসা শব্দ
মৌন স্নানে যাচ্ছে ছোট ছোট ডিঙি
কাঠামোয় জড়িয়ে যাচ্ছে কচুরিপানা ফুল
সারা আকাশ যেন সিঁদুরে রাঙা।
সে আলো যেন এক অঝোর শ্রাবণ
মানা, না মানার ভেতর যেন রক্ত বন্ধনী
ঝরা পাতা খসে পরা শাখা কেও কি ভুলে
যেতে পারে সে গাছের আশ্রয়?
মনে পড়ে যায়...মনে পড়ে যায়...
সবর্না চট্টোপাধ্যায়