ছাই উড়ছে শরীরের বলিরেখা ঘিরে , আর কিছুদিন
পরেই আড়চোখের দৃষ্টিতে বসবে কলঙ্কের ছাপ ।
মগ্নতা থেকে সুশীল পুরুষের দিক পরিবর্তনের ছবিটা
কেটে যারা ঘুড়ি ওড়াবে - তারাও ক্লান্তি ঘোঁচাতে হাত
উঁচিয়ে হাই তুলছে চৌরাস্তায় । মুক্তবেণির
মেয়েটি
পান'এ আদা মেশাতে মেশাতে বাতাসের তাপ মাপছে
-
পাশেই ট্যাপ খুলে পড়ছে জল । তাদের কোনো বিকার নেই ,
নরেন্দ্রও কেমন বরফ খুঁজছেন - এটা তার ভান
হতে পারে , তবে কোন নৌকাবিহার নাই ! মফসসলের
শরীর পুড়ছে , আর কালো কালো ঘুর্ণির ঘুর্ণনে ঘুরছে
জামা প্যান্ট শাড়ি ব্লাউজ , রাগছেন
বাগ্মী মমতা ।
বৈরাগ্য কোথায় কে জানে -
দুই
বিকেলের চালায় গাল ঠেকিয়ে থাকার দৃশ্যতে হার মানে
পশ্চিমের রং । মশগুল তার ক্লান্তিতে দুদলের কাঁটাতার।
যারা
দিন ফিরিয়ে দেবার জন্য মিছিল করে তার সাথে
বিরোধী দলের কোন পার্থক্য নেই - সকলের ইস্তাহারে
ঘুমন্ত রাত্রি অবোধ্য। তবু হাওয়ায় ফোলা
খয়েরী ঠোঁট
জামফলের মতো রসাল , যেন ছায়া কেঁপে ওঠা এই
ভূগোল , আর সঙ্গমে উন্মুখ লাঠি সোটা বন্দুক ।
ঠিক
ঠিক
রাঙাদ্বীপের কাহিনী । এই বুঝি ফিরে ফিরে আসে
চাপ চাপ রক্ত - জঙ্ঘা বেয়ে দক্ষিণে
মেঘদলে -
তিন
আরও আটকে রেখো সহজ কোমর পেঁচিয়ে রাখা শাড়ি,
অথবা জটিল হও পালাগানের সহচরী । এই জংলিপনাতে
কিছু সময় তো দাও - যেখানে দৌড়ে দৌড়ে হৃদয়টা
বেড়ে যেতে পারে জঙ্গলের পরিধি মতো -
এই জৈষ্ঠ্যে
দম বাড়াতে পারলেই সাপুড়েরা বুঝে
নেবে মিথ্যে রানীর গন্ধ ।
যতই উড়ুক্কু সাপ হোক এক্সিট পোলের সংখ্যা গুলো
পেরোতে পারবে না আর -
চার
কারও কোন খুঁত নেই এমন ঠাট্টা না করাই ভালো
-
তুবড়ানো
গালে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কলপগুলো জ্বলজ্বল করছে
ত্রিফলা
বাতিতে ।
চাপা দিতে চাইলেও দগদগে সাদা দাড়ি
ভেসে ওঠে রোড শো'র আলোয় -
কারা যে হাত নাড়ে নিজের খুলির ভিতর?
অবিরাম জলপড়ার শব্দে নাচে নন্দলালা
- মাখন চুরির
অভিজ্ঞতায়
নাড়তে থাকে হাতের নাড়ু ,
টোপ খাওয়া
রোদে উপচে পড়ে গ্লাসের টলটলে মদ
-
তখনই মুখোসের দিকে তাকাও - অস্বীকারের ঢেউয়ে
যে মদের দোকান গুলো ভেসে আসে , ঠিক তেমনই
কোন একদিন ওদের আলাপ -
সেগুলোই এলেমেলো
করে দেয় নিজস্ব আমবন - কপালের কাটা
দাগে ফুটে
ওঠে বিপন্নতা -
পাঁচ
মৃত্যুর আগে ওগো নীল পাতার ধ্বনি - ঝিকমিক করে ধর্মখুন -
অতীত এসেছে হত্যার জন্ম নিয়ে । অস্তহীন দিন দিন খরার
মাঝে সদর দরজা খোলা আছে , সুড়ঙ্গ ভেঙে যত কিছুই দেখি রোজ
-
নিজেকে পোড়াচ্ছে রাতের শাখা -যেন নিদ্রার নিচে এক ক্লান্ত কাক বসে
-
সময় পেরিয়ে যেতে যেতে কোথায় যেন যায়
-
তারপর উধাও চিন্তামণি - তারপর হাজার বছর সেই অস্থিরতা
-
গোপন সংক্রমণে ছেয়ে যাচ্ছে সমস্ত বসবাস - এ কাজ কারও নয়
-
এ কাজ যন্ত্রণারও নয় , একটি খাঁচার ভিতর দুর্লভ মাংসপিণ্ডের মতো
ভালোই তো আছি
নিকটে প্রাণযোগে প্রাণ রাখতে গিয়ে সবুজ ঘাসে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে
সংক্রমণ
যেভাবে কুকুরটি লালা ঝরাতে থাকে - যদিও দূরে মঞ্চের নিচে
অন্ধকার মাথাগুলো - জন্মের ভেতর শিখে গেছে জিভ লুকোতে -