১
আজকাল স্বপ্ন খুব।
তোমার আমার। আমাদের। স্বীকারোক্তির উৎসব।
প্রকৃত অপ্রাকৃত শোরগোল জ্বলজ্বল,
গানগুলি অব্যর্থ নক্ষত্র। অপার গাঙের পাহাড়চুড়া।
বর্ণ আর ব্যাঞ্জন বর্ণের বিয়েশাদি। আমি আর তুমি।
বুকে হাত। ছলাৎপাখির গা। নড়াচড়া করে বিবাহের পালক।
২
চোখ বেঁধে। বাগাডুলি খেলা। ফোয়ারার মতো কিছু মন্ত্র আমাদের
শরীর। মূর্তির পর মূর্তি। জলনদীর কাঠামো। গরম তুষার।
শব্দ কোরে পোশাক খোলে বাতাসের রোমকূপ। স্বপ্নের মধ্যেই
নতুন কোরে ঝরনাসুত্র, সাদা পৃষ্ঠা। মোটা মোটা হরফ। কম্পনের রেখা। দেখি তোমাকে যতো, ততই বাড়ে চুমকির আসবাব।
আশাবরির বাউল ইশারা জাগালে, রক্তের রঙ সানাইবাঁশী।
স্বপ্ন দোষ কেনো হবে রবিবাবু। স্বপ্নই এক বাটি শুভদৃষ্টি। পরশুরাত।
আঁকা শ্রেষ্ঠ রবীন্দ্রগীতি।
৩
সম্ভ্রান্ত সেই কুয়াশাগাছ। পাহাড়শিলং।
একটি দুর্দান্ত আতপদানার ছাদে বসে। পড়ছি আপনাকে।
চোখ ডুবিয়ে পরছি। সুখ আর দুঃখের কোরক।অগ্নুৎপাত।
আপনি শীতলপাটি। হাজার শিরীষ। তিনখানি আলোসম্রাট।
বাতাসের কাচ। রজতশুভ্র। স্বাধীন। চাঁদও বল্গাহীন।
দুলে উঠছে। আপনার বাহুর ভেতর। সৌন্দর্যের কোমর।
শিরশির করে উঠছে শীত। অচেনা লাগছে। যে কোন আহ্নিক।
আপনারই। আবর্তন। আয়তন। সফেন। দানাদার।
আমি লাবণ্য নই, রবিবাবু। তবু অমিত, অক্ষরে।
সীমায়। অসীমে। তপতী জ্যোৎস্নায়। বাক্য প্রহরে।
ভিজতে চেয়ে... ডুবতে চেয়ে... আপনাকে
জিততে চেয়ে...
৪
সত্যি বলছি, রবিবাবু
মোচড় দুলিয়ে কতবার যে তামাম অঙ্গীকার দিয়েছি
কেঁপে উঠেছি। ঠিক যেন লাবণ্য
অমিতকে হৃদয়ে গেঁথে, আসলে তোমাকেই
মোহনার বাঁকে করেছি নদ।
কইতে গিয়ে ভিজেছে প্রত্যহের সংসার
গ্রহরত্নরা মাথা
পেতে দিয়েছে। চিকুর আর সুগন্ধ
রবিবাবু গো, হাত ভর্তি টেরচা নির্জন
দর্পণে আমি তেতেপুড়ে
তুমি কি জানো? কীভাবে চেয়েছি তোমায়