দুটি কবিতা
অশ্বমেঘের আগুন
প্রতিটি মধ্যবিত্ত ঠিকানার
ব্যাগে,সে যতই ছেঁড়া হোক,ফুটিফাটা হোক
মেঘগুচ্ছ ভরে দেওয়া কোনো এক সকালে
একটি আঙুলের স্পর্শ নারীশরীর
হয়ে ওঠে।
সীমারেখা যতদূর পারে রক্তমাংসের
হোক
দক্ষিণেশ্বর বা খাজুরাহো এক সুতোর নিচে প্রার্থনার হাত হয়ে আছে
একবার ঠিকানা হারিয়ে গেলে
বৃষ্টির
মধ্যে মাঠে মাঠে পিতৃপরিচয় বীজধানের মতো ফোটে।
এত ছুটে আসা মেঘের সারি
বাকলশাড়িতে
শকুন্তলার গর্ভবতী শরীর
পৃথিবীর মতো তুলে ধরে মহাকাব্যের পাতায়
এক মহাযজ্ঞ না মহাযুদ্ধের
প্রস্তুতি মেঘে মেঘে
সহস্র শব রাতদিন জন্মাগুন
চেটে খায়!
বসন্তের চোখ
চোখের খুব কাছে এসো দেখো,পলাশ
বাইরে নয়,ভেতরে ফুটে আছে।
অপেক্ষা নতুন শাড়ি পরে,কপালে
টিপ আর দুহাতে নৃত্যরঙিন চুড়ি পরে
শান্তিনিকেতন বা ধানমান্ডিতে
শুধু দাঁড়িয়ে থাকে না,
এই তো মেঠোরাস্তাটা বুক বরাবর চলে গেছে,
এই তো জঙ্গলের গাছপালা
রঙ মেখে চলে গেছে আঙুল-ইশারায়,
এই তো বুড়োশিবতলায় শূন্য দোলনার পাশে হাসির রঙ উড়িয়ে
স্থির সাদাশাড়ি
সেখানে রঙ খেলে আাকাশ নয়,মাটি
নয়,এই দুয়ের মাঝখানে দিগন্ত
যেখানে একবার স্পর্শকাতর
হয়ে চেয়ে থাকলে শেষ হয়ে যায় সব শোক
বসন্ত জানুক না জানুক,আমি
তোমাকে দেখছি,রঙের ভেতর রঙে
আমি তো রক্ত-মাংসের শরীর,তুমিও
তাই
তবু দেখো, জাগ্রত দিনরাত
বসন্তের চোখ।
শুভঙ্কর দাস