সাম্প্রতিক

6/recent/ticker-posts

অরূপ রতন হালদার: কবিতা

 



দুটি কবিতা


বেগানা

 

 

একটা জ্যামিতিক পাথরের মধ্যে দিয়ে আড়াআড়ি ভ্রমণ, বেশ গোছানো

একটা নাক, ওল্টানো বাতিদান যেন চিবুক আর পার্ক স্ট্রিটের

সিমেট্রি থেকে গানের ফার্ণান্ডেজ উড়ে গেল তোমার চোখের ভেতর

ওইখানে নৈয়ায়িক পুড়ে যাচ্ছিল, মৃদু একটা ল্যাভেণ্ডারের আলো

জ্বলছে নিভছে যেন জিওল মাছের হৃদয় আর চতুরঙ্গ

আরও কিছু সহজ হয়ে এলে নদী কথা বলেছিল, তার মুখে

সিন্ধু লিপির মতো ক্ষত, অথচ আমি বুঝতে পারছিলাম

একটা অপরিবর্তনীয় শব্দ এই প্রথম নিজেকে পাল্টে ফেলতে চাইছে

পোর্টিকোয় ভেঙে পড়ে তারানা, কিশোরীর রক্তচাঁদ আরও নরম

এইসব হার্দ্য নয় জেনেও তুমি ঢুকে পড়লে কাবাব-গলিতে

একটা কিরিচ আরও বিষণ্ণ, তোমার পিঠ ফুঁড়ে যায় কখন তুমি জানোনি

কেবল এক জায়ফল-রাত তোমার মধ্যে ভেঙে যাচ্ছিল অনন্ত টুকরোয়

 

 

 

লয়

 

 

ওই গহনঘনকুসুম...একটা বুলেট যেমন দেখ তুমি স্লো মোশনে

চলে যাচ্ছে স্ক্রিনের এক প্রান্ত থেকে আর এক প্রান্তে... চোখ

বন্ধ করে ফেল...বন্ধ চোখেই খোঁপা থেকে উপড়ে নিয়েছ কাঁটা

এবং ছুঁড়ে দাও যেন উন্মত্ত ডার্ট এক লাল আপেলের দিকে

বধির জগতের মুখ বেঁকে যায়, ধাতব বাটি গেয়ে ওঠে

এক একটা চোর্তেন উড্ডীন হৃদয়, পাথরের আর্তনাদে ডুবে আছে

ভয় ফিরিয়ে দিয়েছে তোমাকে আরও একবার মর্ষকামী আয়নার দিকে

 ফেনায়িত শীৎকার ডাঁশ মাছিদের দেহ থেকে ঝরে পড়ে

তার অনন্ত প্রসারণ বাড়ে আর কমে বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চলগুলোয়

এবার বাহির হলেম আমি যে কুঞ্জবনে তার মধ্যে মধ্যে

তুমি রেখে গেছ কবেকার গন্ধকের ঘ্রাণ আর অসম যুদ্ধের

শেষ অংশগুলো, হে সুনয়নী, ওই মহাকাশে তারকাপুঞ্জের ধ্বনি

আড়াল খুঁজেছে, উজ্জ্বল গ্রন্থরা ক্রমে অন্ধকার হয়ে এল





একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ