গুচ্ছ কবিতা
দারুন কবিতা লিখতে চাইনি'কবিতা সিরিজ থেকে
দুর্ভিক্ষ
কি জানি! এমন ঘোড়ার গাড়ির ওপর শুয়ে
কাটিয়ে ফেলতে হবে, কত শুক্লপক্ষ
আর কত কাঁটাবন পেরিয়ে গড়ে তুলতে হবে
বাগান।
পাঁজরের মতই শক্ত সটান শহরের অলিতে গলিতে বেড়ে উঠবে গ্লানি,
তৃষ্ণা। ঠিক এমন সময়
নিভিয়ে ফেলো সন্ধ্যা প্রদীপ নিভিয়ে ফেলো
মানুষের মতো ফিরে আসার পথ ও পথের আলো নিভিয়ে ফেলো। পথে জমে
ওঠা আবর্জনা উপর
থেকে দৃষ্টি নিভিয়ে ফেলো।
আমাদের পরস্পরের মুখ দেখাদেখি বন্ধ
অথচ ..
এক পর্দার নিছে গিলে ফেলতে হবে
সশস্ত্র চন্দ্র শোক।
২
চাঁদ যখন চন্ডাল
(১)
তোমার জ্যোৎস্নার ঘ্রাণে
বশীভূত যেমন শিউলি ফুল
যেমন কাঁঠাল পাতার নৌকো
(২)
চাঁদ চরিত্রহীন হলে, পূর্ণিমা হয়ে
নেমে আসে, ছাদের
নীলকন্ঠ লতা ওপরে
জড়িয়ে পরে, ধ্রুবতারা
সাথে অবৈধ সম্পর্ক।
(৩)
তোমার চোখে তবুও আমি আমার মৃত্যু দেখিনি,
দেখিনি আমার অধঃপতন, দেখেছি
এক মহা পূর্ণিমা রাতের চন্ডালী বশীকরণ।
(৩)
তখন চৈত্র মাস
আপনি আপনার চাঁদপাণা ঘেমো বদন নিয়া
আমার থেকে তপাৎতে এসে দাঁড়ালেন।
আমার হাতে তখন দুটি বড়ো বেগ
এক পাল্লা আলু সাতশো ঝিঙ্গা পাঁচটি
ডিম তিন কিলো চাল এক পেকেট
শোয়াবিন ওয়েল তিন কিলো আটা ...
আমার কপালের ঘাম ভুরুর
উপর স্রোত তৈরি করছে। তাতে দু-চার
খানা জাহাজ ঢুবে যাবে গল্পে।
এই ভরা চৈত্র শুধু কী আমাকে গ্রাস করছে!
এই আশ্চর্য চিন্তা নিয়ে আমি শুধু চেয়ে ছিলাম
আপনি, আমার দিকে ফিরে না
তাকান....
এরপর ও যদি আপনি ঘাড় ঘুরিয়ে ঠোঁট দিয়ে
সুদর্শন অস্ত্র প্রয়োগ করতেন। তৎক্ষণাৎ আমি
আপনার প্রতিটা অশুভ শর্তেও বাধ্য হয়ে পারতাম।
0 মন্তব্যসমূহ