রং
গানে চুমুক
দিতে দিতে আয়েসে গড়িয়ে গেল রং
অমনি একটা
ভেজা কাগজ গা এলিয়ে দিল
রং তার সমস্ত
আকাশ খুলে এক পা দু-পা
আস্তে আস্তে
উপুড় হল কাগজের শরীরে
তারপর তারপর? তারপর আবার কী
গেরস্তের
খোকা হোক
গেরস্তের
খোকা হোক
বলে একটা
পাজি নচ্ছার পাখি ডেকে উঠল
কাগজ মুখ
লুকিয়ে ফেললো রঙের বুকে
বুকের ঘন
রোমে মুখ ঘষতে ঘষতে
কাগজ বলে, এই না
লজ্জা করছে
বড্ড লজ্জা
ওদিকে রং তার
সবটা শেকড় মেলে
কাগজকে জড়িয়ে
নিয়ে বলে
এসো...
দূরে এক আউলা
বাতাস গেয়ে উঠল
'মোরে
আরো আরো আরো দাও প্রাণ'
রোদ বিলি করি
কী পুরু, কী থলথলে যেন গণ্ডারের চামড়া
অন্ধকার লিখে
ফেলতেই মনে হল এইকথা
চোখের সামনে
কালো একটা মেঘের শুঁড়
বিজবিজ করছে
কালো কালো দাঁত
আমার সামান্য
কাজ
যেমন ধরুন, দুঃখ ফুটছে
হাঁড়িতে
ঢাকনা দেব না!
ক্যালাইডোস্কোপের
ভেতর দিয়ে দেখলে
চোখ আলো হয়, চোখ ভালো হয়
অথচ দ্যাখো
তো, আমার যে দুঃখ নিয়েই কাজকারবার
আমার যে রোদ
বিলি করতে করতেই দিন ফুরোলো
1 মন্তব্যসমূহ
খুব ভালো লাগল দুটি কবিতাই। পৃথা চট্টোপাধ্যায়।
উত্তরমুছুন