॥ পরা॥
হ্যাঁ, এ আমারই নাভিক্ষেত্র, এখানে ঘুমিয়ে আছে চৌষট্টি
যোগিনী
প্রতিরোজ চেতোমুখ গড়ি, মাটি মাখি, শব্দে শান্ দিতে গিয়ে
জমে ওঠে পুরনো আতপ ; যেভাবে পাতার গায়ে হিমকাঁটা ফোটে
গাছের কোটর ঘিরে শালিখের সভা বসে, হলুদ পায়ের রেণুদাগ
বিকেল অবধি টানে, নিশুত ভয়ের সামনে অন্য কেউ এখন
ঘুমায়
হাঁড়ি উল্টে শেষটুকু জমানোর অভ্যাস? পেট মাথা এক করে
ব্যথা সহ্য করো, হট্ ব্যাগ দিও, যত বলি ওষুধে সারে না
পুরুষের আচমন ছাড়া
জরায়ুর বাড়িঘর কিছুই থাকে না
॥ পশ্যন্তী॥
শিকারের প্লীহার মতো এই গোল চাঁদ কালো হয়ে যায়
অবমানবীর হাত, শিরার ভেতর পোড়ে ছাই, বিশ্ব হয়
মাতাল মোহিনী। ইচ্ছে হয় গুম্ করে ফেলি
যাবতীয় এই অসুস্থতা। যার পরে কালিও কাজল হবে
মৃতার কাপড়ে
॥ মধ্যমা॥
স্নানঘর ম’ ম’ করে ঘ্রাণে, শীত করে গায়ের চামড়ায়, শোকের
মতো কান্নার হূ হূ কাঁপে অযাচিত বালতি ও মগে। হাওয়া নেই
নিজেই আগুন ঢালি জলের তোয়াজে
নিজে হাতে ছুঁই আর উঠে দাঁড়ায় সে। বাম ও ডানে পথ করে
কুঁড়ে চোখ সেই অবধি দেখতেও পাবে না তল্লাট, স্বাহা বলে
পয়োমুখ দীর্ঘ করে রোমরাজ্য জিতে নিতে হবে
তারপর কোঁকড়ানো মিশমিশে চুলের হরফে
তোমার নামের কেরোসিন এই প্লাস্টিক গাছের শরীরে ঢাকা তুলে
আঁচ দেবে, ন্যাকড়া নেই ; গর্ভকুল রিক্ত হল।
‘— স্বাহা ...’
॥ বৈখরী ॥
শেয়ালকাঁটার বাঁক পেরোলেই রাহী সব দেখতে পায়, অন্ধ হতে হতে
নখে নখ ভীষণ আওয়াজে , চক্রের কুণ্ডে ঘোর শামুকের তন্ন তন্ন
খোঁজা, দেহরোম শেষ করে এবার গ্রীবার তালা খুলবেন। কত বছরের
তরে বসে আছি লতিশেষে ‘ কু’ দেব বলে। শ্বাসে শ্বাস মিলেমিশে
যায়।
( হে পাঠক) এসো, সান্ধ্যভোজ আরম্ভ করো। আমার কপালে
পার্বত্যশিলা
অশ্রুর হার, চোখে চোখ রাখলেই বলতে পারি কেন আমি সিঁদুর পরি
না
আমের ত্বকের মায়া, এই পেলবতা : আসলে দিখাওয়া, পায়ের
গোছের
পথ পা দিয়ে মাড়ালেই উষ্ণতা নামবে। তুমি তুমি তুমি তোমরা
সকলে
মিলে তেজারতি করো
1 মন্তব্যসমূহ
খুব ভালো।
উত্তরমুছুন