তাহ্কিকৎ জোর কদমে। অতীত ইতিহাস ফিরে পাওয়ার। অতীত তবুও ছবি হয়ে থাকে। ছবির মতই। ভবিষ্যৎ-এর মানে কি বর্তমান থেকে ঠিক কতখানি এগিয়ে? কারা সে কাজের স্রষ্টা হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে। কাদের ওপর। তাদের আয়ুপরমায়ু, ভবিষ্যৎ দ্রষ্টা হিসেবে, ঠিক আগামী কত বছর। স্থান কাল মূহুর্ত আপামর পরিকাঠামো ইনফ্রাস্ট্রাক্'চার, যাহা ছিল, যাহা আছে, আগামীতে যাহা হইতে চলিয়াছে। কেউ খাঁচার ধাঁচাতে ব্যাস্ত, যখন কম্পিউটারে। অলরেডি, পাশাপাশি ঝুপড়ির অল্টারনেট ভেবে রাখা ভবিষ্যৎ পরিকল্পিত পরিকল্পনা। ছবি হয়ে আছে। সবুজবন জঙ্গল রঙের রামধনু দেয়ালে দেয়ালে। সেনেটাইজিংএর মতো সন্দেহের বীজ - ব্যাকটেরিয়া অথবা ভাইরাসও হাত পা প্রসারিত করবে। ভবিষ্যৎ জগত আরো আরো উত্তাপিত হবে। লাগাম ছাড়া আকাশ-মিনারের বাসিন্দা যেন। আগুনের ভাট্টির মতো - ফার্নেশ যেন বা! উৎক্ষেপণ প্রক্ষেপণ এর প্রভাবে দুনিয়া বিশুদ্ধ বাতাসহীন। অসহায় বন্যপ্রাণও বিলুপ্ত হবে। আগুন এর লেলিহান সর্বগ্রাসী দাউ দাউ। মগজ আছে, যেমন সব থাকার মতো। প্রতিবাদ! এখন একাই একটি জগদ্দল ঠেলার নাম। যদিও! দেখবে সামনে যমদূত নয়, খুব সাধারণ কেউ বলবে 'একটু এদিকে আসতে হবে।' তখন মন্ত্রমুগ্ধের মত তাকে স্মরণ। ভালো করে দেখলে মনে হবে, এ্যাডভেঞ্চারে নিয়ে যেতে এসেছে। সামনেই রোপওয়ে চেপে বসলেই স্টার্ট। আকাশের ওপর দিয়ে মৃদু দোল খেতে খেতে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। নিচের দিকে তাকালে চোখে পড়বে আদিগন্ত ধ্বংস্তুপ, ক্লান্তচোখ যখন ঝাপসা দেখাবে। তখন প্রান্তিক। নেমে পড়ার পর। যেন বা কোন ওপেনকাস্ট খাদানের তলায় জনশূন্য আধো-অন্ধকার। সেখান থেকে বেরিয়ে আসার জন্য? কোথায় দেখা যাবে সেই রোপওয়ে? তবে কি ভাবতে ভাবতে অনেকটা এগিয়ে আসা হয়ে গেছে? প্রান্তিক হারিয়ে গেল। অঢেল সময় চলতে চলতে ঠিক গন্তব্যে পৌঁছে যাব। গন্তব্যের স্থির নেই। নির্মম ধ্বংস্তূপ আর বড়বড় খাঁই।
খাঁই থেকে বেরোতে পারলেও ধুসর খন্ডহর, ধ্বংসস্তুপ স্তুপীকৃত, এখানে
কোনো ভূমিকম্প হয়নি। কখনোও কোনদিন। বড়মানুষদের খেয়ালের খেলা! হো না হো জাগতিক ওদের দখলেই কিনা! প্রয়োজন পড়লে গড়া, প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলেই ভেঙে
ফেলা। আমমানুষকে যে পথে নিয়ে যাবে! মেষপালকের মতো আমজনতা ঘাড় গুঁজে সেদিকেই ধাবমান হবে। হয়েই চলেছে, চলছি তো চলছিই, গন্তব্য যাই হোক - এপর্যন্ত প্রাণীনামক কিছুই দৃষ্টি গোচর হল
না। এমনকি দুএকটি সারমেয় মার্জার ইঁদুর কিংবা পৃথিবীর প্রাচীনতম জীব তেলাপোকা তাও উধাও। অবশ্য
এনারাও তো মানুষ্য নির্ভর জীব। মানুষই নেই – তার নির্ভরতা!
শুরুটা যেখান থেকে হয়। সেখানে ফেরাটা বোধহয় অনেক সময় হয়ই না। হাঁটছি, হাঁটা যায় যতদূর, তবে কেবলি খন্ডহর
ধ্ব্ংস্তূপ।
এতো ভাঙচুর প্রাণহীন কুরুক্ষেত্র যেন বা। বিশ্বকর্মারা কোথায়! বরাদ্দ বরবাদের
হিসেব মিলবে। বলবেন ‘প্রয়োজন যুক্তি মানে না’! হায় রে মানুষের প্রয়োজন! আর তার
মরা বাঁচার লড়াই। লোহালক্কড়ের ফলা, বিভাজিত চাকার অংশ! খননগন্ধের বণিক এরা, কখনো
উৎপাদনের জন্য বধ্য-প্রাণকে পাতালে নামানো ওঠানোর কাজে লাগায়। বড্ড
মনেপড়ে কবি সুকান্ত, কবি জীবনানন্দ। এরা যা দেখেননি। শিশুর বাসযোগ্য ভূমি, কিম্বা ঘুঘু ডাহুক ডুমরের
ছায়া। ধ্বংসের জন্য যুদ্ধ আর লাগেনা। চাইলেই ধ্বংস করা যায়। জাদুর মতো! ছিল
বিড়াল হয়ে গেল রুমাল!
আমি মাঝে মাঝে স্বপ্ন দেখি আমার স্বর্গীয় আত্মীয়দের। পোড়া-ভাজার সম্ভার
নিয়ে আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন। তাই আমরা তৃপ্তি নিয়ে খেয়েছি। যারা পায় না তাদের
শুকনো মুখ দেখতে ভীষণ কষ্ট হয়। এ্যাকচুয়ালি তাদের দেখানোর জন্যই এই সম্ভারের
সম্ভাবনা। আমি ঈশ্বরের ওপর সব ছেড়ে দিয়েছি। ধ্বংস অথবা নির্মাণ কারোও ইজারা বা
মৌরসীপাট্টা নয়। তবুও যেন বা বাহুজোর, লস্করজোর খাটিয়ে গাজোয়ারি। যুদ্ধ নয়, ছায়া ছায়া
বজ্রবাতাস, সময়-অসময়ে এতই ভাঙচুর! জেগে ওঠা জলাশয়, বন-অরণ্য সবাইকে হার মানায়। গৃহস্থের পালাপার্বণের মতো প্রকৃতির
পাহাড়-পর্বত আগ্রাসীরা সমস্ত স্থানে তাদের থাবা বসিয়ে দিচ্ছে! এখন যে কোনো
বিপর্যয় যেন একছত্র মানব-অধিকার! ভেতরের দানবটি সিং দাঁত নখ দিয়ে শান্ত জগতকে আরো
অশান্ত করে তোলার প্রতিযোগিতায় নেমে পড়েছে!
নারীবাতাস ঘুরিয়ে দিতে পারে পৃথিবীর সমস্ত ধ্বংস! মৃণ্ময়তা - বাদ্য সংগীত নৃত্য। কোকিলের
কুহুডাক, তোতার সরবতা, মাছরাঙার
বর্ণব্যঞ্জনা, কাঠঠোকরার তানপুরা, কাঠবেড়ালির বর্ষণ সমাচার! নারীস্নিগ্ধ বাতাস, সুন্দরের ফর্দমালা, শীতল বর্ণময় ব্যঞ্জনাময়
এক পর্বতশৃঙ্গ – এরা সবাই আজকের ভ্রাম্যমান
জন্মমৃত্যুর প্রত্নাভাসের বিকল্প খুঁজছে।
0 মন্তব্যসমূহ